গেল-রাহুলকে রুখতে রাসেলের উপর ভরসা রাখছেন কার্তিক।
‘হয় মরো, নয় মারো’। শনিবার ইনদওরের হোলকার স্টেডিয়ামে এই মন্ত্র নিয়েই নামতে হবে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।
শনিবার ক্রিস গেলদের হারাতে না পারলে প্লে-অফের স্বপ্ন দেখা ছাড়তেই হবে নাইটদের। শুধু গেলদের কেন, এখন শেষ তিনটি ম্যাচেই জয় চাই দীনেশ কার্তিকদের। এই কঠিন রাস্তার প্রথম ধাপ পেরোতে শনিবার নামছে কেকেআর।
গত তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতে হেরে কিংস ইলেভেন এখন লিগ তালিকায় তিন নম্বরে। তবে শেষ চারে যে থাকবেই তারা, তা নিশ্চিত নয়। সেরা চারে জায়গা পাকা করতে আরও অন্তত দুটো ম্যাচ জিততে হবে তাদের। দশ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট আর অশ্বিনদের। এই অবস্থায় রাজস্থান রয়্যালসের কাছে ৬ উইকেটে হারের পরে পঞ্জাবের দলের মধ্যেও কিছু অশান্তি হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
অশ্বিনের তিন নম্বরে ব্যাট করা নিয়ে দলের মালকিন প্রীতি জিন্টা ও মেন্টর বীরেন্দ্র সহবাগ নাকি একে অপরের মধ্যে তর্ক জুড়ে দেন। যদিও প্রীতি তা অস্বীকার করে জানান, তর্কাতর্কি কিছু হয়নি, শুধু আলোচনা হয়েছে মাত্র। কিংসের ক্রিকেটাররা যে রকম ফর্মে আছেন, বিশেষ করে গেল, কে এল রাহুল, করুণ নায়ার, অ্যান্ড্রু টাই ও মুজিব-উর-রহমান। কার্তিকদের কাছে ম্যাচটা মোটেই সোজা হবে না।
এই কঠিন চ্যালেঞ্জের আগে নিজেদের তৈরি রাখতে মাঠে যেমন অনুশীলন হল শুক্রবার। তেমনই দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্পর্কের বাঁধন আরও শক্ত করতে একটি বিশেষ সেশনের আয়োজন করেন কোচ জাক কালিস, ব্যাটিং কোচ সাইমন ক্যাটিচ ও বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। এই সেশনে আন্দ্রে রাসেল, ক্রিস লিন, কুলদীপ যাদব, পীযূষ চাওলা, রবিন উথাপ্পারা নিজেদের মধ্যে চুটিয়ে আড্ডা মারেন। প্রত্যেকে সতীর্থদের সম্পর্কে তাঁদের ধারণা জানান একটি নির্দিষ্ট ফর্মে। দলের ছেলেদের নিয়ে বিনোদনমূলক গেমও খেলেন কোচেরা।
প্রবল চাপ কাটিয়ে ড্রেসিংরুমের পরিবেশ যাতে ইতিবাচক ও স্বাভাবিক থাকে, তা নিশ্চিত করতেই কালিসদের এই চেষ্টা বলে শোনা গেল। ফল যাই হোক, কর্তৃপক্ষ যে ক্রিকেটারদের পাশে থাকবেন, সেই আশ্বাসও দেওয়া হয় এই সেশনে।
একসঙ্গে সময় কাটানোর পরে ও কোচ, কর্তাদের কাছ থেকে আশ্বাস পাওয়ার পরে দলের মধ্যে গুমোট ভাবটা কিছুটা কেটেছে বলে জানা গেল। এর সঙ্গে একটা ভাল খবরও আছে শিবিরে। ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত সমস্যা কাটতে চলেছে। শুক্রবার সাইমন ক্যাটিচ অনুশীলনের আগে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘শুভমন (গিল), শিবম (মাভি) অনেক সুস্থ। আজ অনুশীলন করবে। ফের চোট-আঘাত না লাগলে আশা করি, কাল মাঠে নামতে পারে।’’
পরপর দুই ম্যাচে হারের পরে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে ক্যাটিচ বলছেন, ‘‘আমাদের ছেলেদের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা আছে। দিল্লিতে গিয়ে হারার পরেও তো আমরা জয়ে ফিরে এসেছিলাম।’’ লিগের শেষের দিকে এই চাপটা অপ্রত্যাশিত নয় বলে মনে করেন প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় টেস্ট তারকা। তাঁর মতে, ‘‘প্রতিযোগিতার শেষ দিকে এমন চাপ আসতেই পারে। সেই চাপ সামলানোর ক্ষমতা থাকা দরকার। প্লে-অফে গিয়ে তো চাপ আরও বাড়বে আমাদের।’’ শনিবার ম্যাচ জিততে রাসেল ও লিনের দিকে তাকিয়ে নাইট শিবির। ক্যাটিচ বলেন, ‘‘পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ইডেনেও বড় রান (১৯১) তুলেছিলাম আমরা। শনিবারও বোর্ডে বড় রান চাই। সে জন্য লিন ও রাসেলকে দায়িত্ব নিতে হবে।’’ সত্যিই তাঁরা দলকে জেতাতে পারবেন কি না, সেটাই বড় প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy