কেকেআরের গ্ল্যামার-স্কোয়াড। রবিবার ইডেনে জুহি-ঋতুপর্ণা-উষা উত্থুপ। -বিসিসিআই
দিল্লি কড়া টেস্ট পেপার নয়
রাসেল, হগ, হেস্টিংসরা খুব ভাল বোলিং করেছে। কিন্তু ডি’কককে বাদ দিলে দিল্লির প্রধান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ময়ঙ্ক, শ্রেয়স, সঞ্জুর মতো ভারতীয় তরুণরাই তো বেশি। যাদের অভিজ্ঞতা আহামরি নয়। আরসিবি, পুণের মতো পোড় খাওয়া ব্যাটিং লাইন আপের সামনে কী করে সেটা দেখার পরই বলা যাবে কেকেআরের এই বোলিং কতটা ভয়ঙ্কর।
নারিন না হগ
ব্র্যাড হগের জায়গায় সুনীল নারিন আসলে কেকেআরের বোলিংয়ের ধার আরও বাড়বে। চায়নাম্যান হগ ভাল বোলার, ওর গুগলি খুব কার্যকর মানছি। কিন্তু ও রহস্য স্পিনার নয়। নারিনের বল কোনটা ভিতরে আসবে, কোনটা বাইরে যাবে ব্যাটসম্যান বুঝতে পারে না। ওর হাতে ভেরিয়েশনও প্রচুর। তবে যদি দুই স্পিনারকে এক সঙ্গে কোনও স্পিনিং ট্র্যাকে খেলাতে পারে কেকেআর, তবে কিন্তু বিপক্ষের ঘুম ছুটে যাবে।
হেস্টিংস না মর্কেল
হেস্টিংস প্রথম ম্যাচে বেশ ভাল বল করল। কিন্তু তবু বলব মর্কেল বেটার অপশন। সদ্য চোট থেকে উঠে এসেছে বলে হয়তো দিল্লির বিরুদ্ধে মর্কেলকে নামানোর ঝুঁকি নেয়নি কোচ। এটাও ঠিক হেস্টিংসের ২.৪ ওভারে মাত্র ছ’রান দিয়ে দু’উইকেট তুলে নেওয়া দারুণ বোলিং ফিগার। তবে হেস্টিং কিন্তু লেংথ বোলার। ওর বল মারা যায়। মর্কেলের বোলিং তুলনায় মারা কঠিন। যে রকম পেস, এত লম্বা বলে সে রকম বাউন্স আছে মর্কেলের বলে। ডেথেও তাই মর্কেল ভয়ঙ্কর।
২৪ রানে ৩ উইকেট। ইডেনে রাসেল-রোষ
রাসেল প্যাকেজ
আন্দ্রে রাসেল যে ভাবে নিজেকে অলরাউন্ডার হিসেবে উন্নত করেছে, সেটা দুর্দান্ত। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক’দিনের মধ্যেই আইপিএলে নেমে ওকে আরও আত্মবিশ্বাসী লাগছে। রাসেল এখন কমপ্লিট একটা প্যাকেজ। সারা বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে ভাবে রাসেলরা টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে বেড়ায় সেটা বিভিন্ন পরিবেশে মানিয়ে নিতেও ওকে সাহায্য করছে। বোলিংটা যেমন আছে, তেমনি দরকার পড়লে হাতে বিগ হিটও আছে।
অ্যাওয়ে ম্যাচ ফর্মুলা
আ্যাওয়ে ম্যাচে যে ধরনের পিচই পাক না কেন, গম্ভীরদের হাতে বারুদ আছে। স্লো উইকেটে তিন পেসারের জায়গায় দুই পেসার, দুই স্পিনারের সঙ্গে সাকিব বা কুলদীপকে খেলানো যায়। গ্রিনটপ হলে আবার উমেশ যাদব, মর্নি আর রাসেল। এখানেই এগিয়ে কেকেআর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy