দু’বছর আগেই চোট-আঘাতে এতটাই বিপর্যস্ত ছিলেন যে তাঁর বিশ্ব র্যাঙ্কিং পিছিয়ে গিয়েছিল ১০৪৫-এ। সেখান থেকে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে উঠে নিজেই আবাক খুয়ান মার্তিন দেল পোত্রো। যাঁর বিশ্ব র্যাঙ্কিং এখন ৩।
রাফায়েল নাদালের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তিনি দু’সেটে এগিয়ে থাকার সময় স্প্যানিশ তারকা সরে দাঁড়ানোয় ৯ বছর পরে ফের বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে পৌঁছে যান আর্জেন্টিনীয় তারকা। ২০০৯ যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে রজার ফেডেরারকে হারিয়ে খেতাব জয়ী দেল পোত্রো বলেন, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে যে ফের ফাইনালে খেলতে পারব সেটা বিশ্বাসই করতে পারিনি। আমার প্রিয় প্রতিযোগিতা এটা। তাই ফাইনালের লড়াইটা আমার কাছে বিশেষ রকম হতে যাচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এই জায়গায় ফের উঠে আসাটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেক বাধা পেরিয়ে আমাকে এই মুহূর্তটার সামনে আসতে হয়েছে।’’
ফাইনালে দেল পোত্রো এগিয়ে রাখছেন তাঁর চেয়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ পিছিয়ে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী নোভাক জোকভিচকেই। যিনি নিজেও কনুইয়ের চোট সামলে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিলেন উইম্বলডনে। এ বার টানা দু’নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের সামনে। উইম্বলডনে যে রকম খেলেছেন জোকোভিচ এবং এখন যে রকম ছন্দে আছেন সেটাই খেতাব জয়ের দৌড়ে প্রাক্তন বিশ্বসেরাকে এগিয়ে রাখছেন বলে মনে করেন দেল পোত্রো। পাশাপাশি মুখোমুখি লড়াইয়ে দেল পোত্রোর বিরুদ্ধে ১৪-৪ এগিয়ে রয়েছেন জোকোভিচ। যার মধ্যে শেষ জয় এসেছে ২০১৭ রোম মাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনালে।
তবে একই সঙ্গে দেল পোত্রো মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি, ‘‘ন’বছর আগে আমি যখন যুক্তরাষ্ট্র ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলাম সে বারও কিন্তু রজার ফেডেরারই খেতাব জয়ের দৌড়ে এগিয়ে ছিল। তাই রবিবার ফের আমি ফাইনালে সবাইকে চমকে দেওয়ার
চেষ্টা করব।’’ জোকোভিচ আবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে বলছেন, ‘‘দেল পোত্রো আমার খুব ভাল বন্ধু। ওকে খুব সম্মান করি আমি। চোটের জন্য ও দু’বছর, তিন বছর ট্যুরের বাইরে চলে গিয়েছিল এক সময়। সেখান থেকে কতটা পরিশ্রম করে যে ও ফিরে এসেছে, সেটা আমি বুঝতে পারি। তবে র্যাঙ্কিংয়ে ও যতই পিছিয়ে থাক, সবাই জানত ও বিশ্বের প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে থাকা খেলোয়াড়।’’
যুক্তরাষ্ট্র ওপেন সিঙ্গলস ফাইনাল: জোকোভিচ বনাম দেল পোত্রো, রাত ১-৩০, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১, ২।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy