অনুশীলনে এটিকে। ছবি: আইএসএল।
এই বছর এই প্রথম দেখা। বুধবার এটিকের মুখোমুখি গোয়া। পরপর দুটি ম্যাচ জিতে ঘরের মাঠ বিবেকানন্দ যুবভারতী স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ খেলতে নামছে এটিকে। টানা তৃতীয় জয় নিশ্চিত করে দেবে এটিকে-র ফিরে আসা বা পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়ানো। এফসি গোয়ারও চেষ্টা থাকবে শেষ ম্যাচে এফসি পুণে সিটির বিরুদ্ধে তাদের সাময়িত ছন্দ হারানোর কথা ভুলতে। কলকাতায় জিততে পারলে গোয়া ১৫ পয়েন্ট নিয়ে উঠে আসতে পারে দ্বিতীয় স্থানে, যা তাদের কাছে বাড়তি অনুপ্রেরণা হবে।
ম্যাচের আগের দিন গোয়ার সহকারি কোচ ডেরেক পেরেরা বলেন, ‘‘একটা খারাপ দিন যেতেই পারে। পুণে সিটির বিরুদ্ধে আমরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি। কিছু সিদ্ধান্তও আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছিল। ফুটবলে এমন হয়ই, যা ভুলে নতুন করে শুরু করাটাই আসল। একটাই লক্ষ্য ফিরতে হবে জয়ের রাস্তায়। নিজেদের চেনা ফুটবলই খেলতে হবে।’’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘর সামলেই আক্রমণে যাবে দল। কারণ অতীত অভিজ্ঞতা বলছে আক্রমণে বেশি মন দিতে গিয়ে রক্ষণকে খানিকটা অবহেলাই হয়ত করেছিল গোয়া। যার মাসুল দিতে হয়েছে দলকে। পুরো দল নিয়েই কলকাতায় এসেছে এফসি গোয়া। চোট-আঘাত নেই দলে। ডেরেকের মতে, ম্যাচটা হঠাৎ করে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে (হওয়ার কথা ছিল ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭) সামান্য অসুবিধা হলেও গোয়া বাড়তি দু’টি দিন পেয়েছে বিশ্রাম এবং প্রস্তুতির জন্য।
আরও পড়ুন
জয়ে ফিরলেও মন ভরাতে ব্যর্থ লাল-হলুদ
তিনি বলেন, ‘‘খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আমাদের জন্য। কারণ কলকাতা অন্য ধরণের ফুটবল খেলে। কিন্তু আমরা চেষ্টা করব আমাদের মতোই খেলতে। দুটো দিন অতিরিক্ত পেয়েছি ঠিকই কিন্তু আমরা আগে খেলার জন্যও প্রস্তুত ছিলাম।’’
টেডি শেরিংহ্যামের চাপ খানিকটা কমেছে পরপর দুই ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসি এবং দিল্লি ডায়নামোসকে হারিয়ে। যার ফলে লিগ তালিকার সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে দল। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের অবশ্য শুরুটা একদমই ভাল হয়নি। কিন্তু ক্রমশ ফিরছে এটিকে। এ বার অবশ্যই কোচের লক্ষ্য প্রথম চারে জায়গা করে নেওয়া। এটিকের সঙ্গে এই মুহূর্তে তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা মুম্বইয়ের পয়েন্টের পার্থক্য পাঁচ। এটিকে-র হাতে দু’টি ম্যাচ রয়েছে। যে দু’টি ম্যাচ থেকে সর্বোচ্চ পয়েন্ট তুলে নিতে চাইবে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। শেরিংহ্যামের দলকে নতুন জীবন দিয়েছেন রবি কিন, তাঁর পারফরম্যান্সে। শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে দুরন্ত গোলও করেছেন। তাই ভরসা তিনিই।
এটিকের বিরুদ্ধে নামার আগে এফসি গোয়ার প্রস্তুতি।
এটিকে কোচ শেরিংহ্যাম বলেন, ‘‘বিশ্ব বিখ্যাত ফুটবলার কিন। অনুশীলনে প্রতিদিন নতুন কিছু করে ফেলে। যে কারণে ফুটবলাররাও ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। আর ঠিক এই কারণেই কিনকে আমি ভারতে আসতে বলেছিলাম।’’ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রাক্তন তারকা মনে করছেন, ঘরের মাঠ বা বাইরের মাঠের ফর্ম নিয়ে আলাদা করে ভাবতে রাজি নন এই মুহূর্তে। এই পরিসংখ্যান নিয়ে শুধু সংবাদমাধ্যমেরই মাথাব্যথা বলে মনে করেন কোচ। পাশে দাঁড়িয়েছেন দলের ফুটবলারদেরও।
তিনি বলেন, ‘‘আমরা শুধুই পিছন থেকে খেলি না।।শুধু রক্ষণ না করে শুরু থেকেই আক্রমণে উঠেছি। এ বারও একই মানসিকতা নিয়ে খেলব। গোল করতেই হবে, যত তাড়াতাড়ি গোল পাব তত ভাল। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও মাঠে নেমে সব সময় ভাবনা অনুযায়ী খেলা যায় না।’’ গোয়াকে হারিয়ে টানা তিন ম্যাচ জিতলে সত্যিই গতবারের চ্যাম্পিয়নরা বুঝিয়ে দেবে যে ফিরে আসতে ঠিক কতটা মরিয়া ছিল তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy