প্রতিদ্বন্দ্বী: সুনীল না জেজে, ফাইনালে কে টেক্কা দেবেন? পিটিআই
এ বারের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুটো সবচেয়ে ধারাবাহিক দল ফাইনালে উঠেছে। যারা পুরোপুরি ফাইনালে ওঠার যোগ্য। সেমিফাইনালে সবচেয়ে যেটা ভাল লাগল সেটা হল, দু’জন ভারতীয় স্ট্রাইকারই কিন্তু পার্থক্য গড়ে দিল। যেটা ভারতীয় ফুটবলের মস্ত বড় প্রচার।
বেঙ্গালুরু এফ সি-র হয়ে সুনীল ছেত্রীর হ্যাটট্রিক আর চেন্নাইয়ের হয়ে জেজে লালপেখলুয়ার জোড়া গোল প্রত্যাশার পারদটা আরও চড়িয়ে দিয়েছে। এ বার শেষ ম্যাচেও এটা ধরে রাখতে হবে ওদের। অবশ্যই এক জনই চ্যাম্পিয়ন হবে দু’জনের মধ্যে।
সুনীলের হ্যাটট্রিকটা ব্যাতিক্রমী। দ্বিতীয় পর্বের খেলায় এই হ্যাটট্রিকটাই ওদের জেতাল। ওর প্রত্যেকটা গোলে কিন্তু অভিজ্ঞতা আর সুযোগসন্ধানীর ছাপ রয়েছে। যে দক্ষতা ওকে জাতীয় দলে আলাদা করে নজরে পড়তে সাহায্য করেছে। সুনীলের এই হ্যাটট্রিক একেবারে যথাযথ উদাহরণ, যখন টিমের তোমায় প্রয়োজন তখন কী ভাবে অবদান রাখতে হয়।
জেজের ক্ষেত্রেও একই কথা বলা যায়। যখনই দলের প্রয়োজন হয়েছে তখনই জেজে জ্বলে উঠেছে। তাও দেখুন সেটা কী দুরন্ত ভাবে। ও যে ম্যাচ উইনার সেটা চেন্নাইয়িনের হয়ে দুটো দারুণ গোলে দেখিয়ে দিয়েছে জেজে।
ফাইনালটা জমে যাবে বলে মনে হচ্ছে। আমার তো মনে হচ্ছে ৯০ মিনিট কোনও দল কাউকে ছেড়ে কথা বলবে না। অতিরিক্ত সময়ও গড়াতে পারে ম্যাচটা। দুটো দলই কিন্তু রক্ষণের দিক থেকে খুব সংগঠিত। তাই দুটো দলেরই রক্ষণ ভাঙাটা সোজা নয়। কেন জানি না তাই মনে হচ্ছে, গোল হলে সেট পিস থেকে হতে পারে। আমার এটাও মনে হচ্ছে ম্যাচের গোড়া থেকেই কোনও দল অল আউট আক্রমণে যাবে না। বরং ধৈর্য ধরে সুযোগের অপেক্ষায় থাকবে দুটো দলই।
ফাইনালের লড়াইটা কিন্তু দুটো সম শক্তির দলের মধ্যে। দুটো টিমই প্রায় একই রকম মানসিকতা নিয়ে খেলতে নামে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হল দুটো দলেই একই রকমের ফুটবলার রয়েছে। ফাইনালে সম্ভাব্য ছক হয়তো ৪-২-৩-১। যাতে মিডফিল্ডাররা হয়তো আক্রমণের চেয়ে বেশি রক্ষণাত্মক খেলায় জোর দিতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy