গোলের পর জেজে। ছবি: আইএসএল।
চেন্নাইয়ান এফসি ২ (জেজে-২)
দিল্লি ডায়নামোস ২ (ডেভিড, জিওন)
ইন্ডিয়ান সুপার লিগে নিজেদের মাঠে দিল্লি ডায়নামোসের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করল চেন্নাইয়ান এফসি।। জন্মদিনে জেজে লালপেখলুয়ার জোড়া গোলে এল এক পয়েন্ট। জন গ্রেগরির চেন্নাইয়ান এফসি চার ম্যাচের জন্য নির্বাসিত কোচকে ছাড়াও প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট তুলে নিল। অর্থাৎ ৯ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট চেন্নাইয়ানের। এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট তুলে নেওয়ায় দিল্লির টানা ছয় ম্যাচ হারের ধারাও শেষ হল। তবে ৮ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে মিগেল আনখেল পর্তুগালের দিল্লি থেকে গেল সবার শেষেই।
দিল্লিই প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল ২৪ মিনিটে। নন্দকুমারের ক্রসে মাথা ছুঁইয়েছিলেন ডেভিড। চেন্নাইয়ান রক্ষণের কেউই ডেভিডকে মার্ক করেননি। দিল্লি ডায়নামোস শেষ ছয় ম্যাচে টানা হেরেছিল এবং হজম করতে হয়েছিল ১৭ গোল। এ দিন এগিয়ে গিয়েছিল লিগে দ্বিতীয় স্থানে-থাকা চেন্নাইয়ানের বিরুদ্ধে। কিন্তু, বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সেই ব্যবধান। ৪২ মিনিটে জেজে সমতা ফেরান রেনের সেন্টার থেকে হেডে। জেজের হেড বাঁচানোর কথা ভাবরই সময় পাননি গোলকিপার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই চেন্নাইকে এগিয়ে দেন বার্থডে-বয় জেজেই। নিজের দ্বিতীয় গোল ম্যাচে। জার্মানপ্রিত সিংহের থেকে বল পেয়ে ঠাণ্ডা মাথায় ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠান তিনি। জন্মদিনে চেন্নাইয়ান এফসির ইতিহাসে দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি গোল করে ফেললেন জেজে। এই মরসুমে ন’ম্যাচে তাঁর ষষ্ঠ গোল হয়ে গেল। ভারতীয় স্ট্রাইকারদের মধ্যে বলবন্ত সিংহের ছিল পাঁচ গোল, চতুর্থ হিরো আইএসএল-এ সর্বোচ্চ। তাঁকেও ছাপিয়ে গেলেন ম্যাচের নায়ক জেজে। আর চার মরসুম মিলিয়ে মোট ১৯ গোল, ভারতীয়দের মধ্যে আইএসএল-এ সর্বোচ্চ।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য দিল্লি দ্বিতীয়বার এগিয়ে যেতে পারত। কিন্তু পরপর দু’বার নিশ্চিত পতন রুখে দেন চেন্নাইয়ানের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা। রোমিও ফার্নান্ডেজ শট নিয়েছিলেন গোল লক্ষ্য করে, যা বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক করণজিৎ সিংহ। কিন্তু, তাঁর ফিরিয়ে দেওয়া বল পড়েছিল ছাঙ্গতের পায়ে। ছাঙ্গতের শট আটকে দেন ধনচন্দ্র।
গোলের পর দিল্লির ডেভিড।
দিল্লিকে এক পয়েন্ট এনে দেন পরিবর্ত হিসাবে মাঠে আসা জিওন ফার্নান্ডেজ। কালু উচের হেড থেকে বক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় বল পেয়ে সমতা ফেরাতে কোনও ভুল করেননি জিওন। টানা ছয় ম্যাচে হারের পর দিল্লি ডায়নামোসের আশা ছিল, নতুন বছরে ভাল কিছু হবে। এক পয়েন্ট সেই হিসাবে ইতিবাচক হলেও, আট ম্যাচে চার পয়েন্টের পর, প্রথম চারে শেষ করার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে।
দ্বিতীয়ার্ধে চেন্নাইয়ান এফসি খেলার গতি মন্থর করতেই দিল্লি অ্যাওয়ে ম্যাচেও ম্যাচের দখল নিজেদের হাতে তুলে নেয়। এই মরসুমে শুরুর ম্যাচের পর যারা টানা ছ’টি ম্যাচ হেরেছে তাদের পক্ষে এমন পারফরম্যান্স নিশ্চিতভাবেই বাহবার যোগ্য। কিন্তু তাদের কোচ যেমন বলেছিলেন, আক্রমণ আর রক্ষণ দু’টি জায়গাতেই বারবার ব্যর্থতাই তাদের লিগ তালিকায় এই অবস্থায় থাকার কারণ, এই ম্যাচেও একই কথা প্রযোজ্য। শেষ সাতটি ম্যাচে তারা ১৯টি গোল খেয়েছে। যা নিশ্চিতভাবেই বলে দেয়, রক্ষণে সত্যিই আলাদা নজর দেওয়া জরুরী তাদের।
পুণের সঙ্গে একই ১৬ পয়েন্টে ছিল চেন্নাইয়ান। এই ম্যাচের আগে, একটি ম্যাচ কম খেলে। সমান সংখ্যক ম্যাচে এখন তাদের পয়েন্ট ১৭। একমাত্র বেঙ্গালুরু এফসি পেরিয়ে যেতে পারে তাদের, যদি সুনীল ছেত্রীরা হারাতে পারেন এটিকে-কে, রবিবারের দ্বিতীয় ম্যাচে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy