জোড়া ডার্বি জয়কে সম্বল করে সামনের দিকে এগোতে চাইছেন আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জোড়া ডার্বি জিতে ফেলেছেন। প্লে-অফ অবশ্য ডার্বি জেতার আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার শীর্ষে তাঁর এটিকে মোহনবাগান। তবুও ২২ ফেব্রুয়ারি তিলক ময়দানে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে নামার আগে একফোঁটাও আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজি নন আন্তোনিয়ো লোপেজ হাবাস। যদিও জোড়া ডার্বি জয়ী কোচ কিন্তু শেষ ‘বড় ম্যাচ’ জেতাকেই এগিয়ে রাখলেন।
তবুও তাঁর কাছে ডার্বি জয় নিয়ে প্রশ্ন চলেই এল। প্রথমবার লাল-হলুদকে সামনে পেয়েই দুবার হারিয়েছেন। কোন ডার্বি জয় স্প্যানিশ কোচের কাছে বেশি মধুর। এতটুকু সময় না নিয়ে হাবাসের ব্যাখ্যা, “কোচ হিসেবে প্রতি ম্যাচেই তিন পয়েন্ট চাই। দিনের শেষে জয়টাই আসল কথা। তবে যদি দুটো ডার্বির তুলনা করেন তাহলে এই জয় অনেক বেশি তৃপ্তি দিয়েছে। কারণ প্লে-অফের আগে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য এই ডার্বি জয় ওষুধের মত কাজ করবে। তাছাড়া গত ডার্বির তুলনায় এই ম্যাচে দল অনেক বেশি ভাল ফুটবল খেলেছে। আক্রমণের ঝাঁঝ অনেক বেশি ছিল। তাই জয় বাড়তি আনন্দ দিয়েছে।”
স্বভাবতই চলে এল রয় কৃষ্ণর কথা। লাগাতার ১৮ ম্যাচ খেলে ১৪ গোল করে ইতিমধ্যেই ‘গোল্ডেন বুট’এর দাবিদার ফিজি জাতীয় দলের এই তারকা। গত মরসুমে ২১ ম্যাচে ১৫ গোল করেছিলেন। এবার যেন তিনি আরও খুনে মেজাজে বিপক্ষের রক্ষণ ভাঙছেন। প্রধান স্ত্রাইকারের এমন দাপট দেখে মুগ্ধ স্প্যানিশ কোচ। বলে দিলেন, “রয় কৃষ্ণ শুধু একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার নয়, ও খুবই ভদ্র ও পেশাদার। এর ফলেই চোট-আঘাত ছাড়া লাগাতার ফুটবল খেলে সাফল্য পাচ্ছে। তাই আমার মতে রয় হল চলতি লিগের সেরা ফুটবলার।”
যদিও ডার্বি জয়কে পিছনে রেখে পরের প্রতিপক্ষ নিয়ে ভাবতে চাইছেন দুবারের আইএসএল জয়ী কোচ। গত ম্যাচে কিবু ভিকুনার কেরলকে ৪-০ গোলে হারিয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে উঠে এসেছে ম্যানুয়েল মারকুয়েজের দল। গত ১১ ডিসেম্বর দক্ষিণ ভারতের এই দলের মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ-মেরুন। মনবীর সিংহ সেই ম্যাচে গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেও তাঁর ভুলেই পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতা ফিরিয়েছিলেন জাও ভিক্টর। ফলে ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল সেই ম্যাচ। হায়দরাবাদের রক্ষণে ওডেই অনাইন্ডিয়া রয়েছেন। মাঝমাঠে আছেন জাও ভিক্টরের মত বিদেশি। এছাড়া ভারতীয়দের মধ্যে নজর কেড়েছেন সৌভিক চক্রবর্তী, নিখিল পুজারি ও হোলিচরণ নার্জারি। আক্রমণে আদ্রিয়ানে সান্তানা, ফ্রান সান্দাজার মত বিদেশিদের সাথে পাল্লা দিয়ে খেলছেন রোহিত দানো, লিস্টন কোলাকোর মত তরুণ ভারতীয়। তাই বিপক্ষকে সমীহ করছেন হাবাস।
সবুজ-মেরুন কোচ বলছেন, “ওদের দল অনেকটা আমাদের মত। খেতাব জেতার জন্য একটা দলে যা যা দরকার এই দলটার মধ্যে সেই গুন রয়েছে। প্রতি বিভাগে ম্যাচ জেতানো ফুটবলার ছাড়াও ওদের মাথার উপর রয়েছেন ম্যানুয়েল মারকুয়েজের কোচ। তবুও আমরা জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তাই বলে আত্মতুষ্টি ও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কোনও জায়গা নেই। কারণ ওরা সবসময় চমক দিয়েছে।”
এদু গার্সিয়ার গোড়ালির চোট এখনও সারেনি। এর মধ্যে গত ম্যাচে আবার চোট পান মার্সেলিনহো। যদিও এই ব্রাজিলীয়র চোট নিয়ে চিন্তিত নন হাবাস। দল ভাল জায়গায় আছে বলে ঘুরিয়ে ফিরিইয়েও সবাইকে খেলাতে পারেন। সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy