পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সহজ জয়ের মধ্যেও চিন্তা বেড়েছে ভারতীয় সমর্থকদের। ম্যাচ চলাকালীন চোট পান রোহিত শর্মা ও মহম্মদ শামি। তাঁদের চোট কতটা গুরুতর? পরের ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে কি তাঁরা খেলতে পারবেন? জবাব দিলেন শ্রেয়স আয়ার। কী বললেন তিনি?
পাকিস্তান ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে শ্রেয়সকে রোহিত ও শামির চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে ওদের কথা হয়েছে। ওদের দেখে মনে হয়নি কোনও সমস্যা হচ্ছে। যত দূর জানি, ওদের চোট এমন কিছু গুরুতর নয়। পরের ম্যাচে খেলা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।” ম্যাচশেষে রোহিতও জানিয়েছেন, আপাতত তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে না।
পাকিস্তানের ইনিংস চলাকালীন তিন ওভার বল করার পরেই পায়ের পেশিতে টান ধরে শামির। ফিজিয়ো মাঠে নেমে তাঁকে পরীক্ষা করেন। শামি মাঠ থেকে উঠে যান। কিছু ক্ষণ পরে অবশ্য আবার ফিরে এসে বল করেন তিনি। সেই সময় শামিকে দেখে মনে হচ্ছিল না কোনও সমস্যা হচ্ছে তাঁর। ফিল্ডিং করার সময় পায়ের পেশিতে টান ধরে রোহিতেরও। তিনিও কিছু ক্ষণ মাঠে ছিলেন না। তবে তাঁদের চোট যে বিশেষ গুরুতর নয় তা জানিয়ে দিলেন শ্রেয়স।
আরও পড়ুন:
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যায়নি ভারত। তাদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে হচ্ছে। পাকিস্তানের মাটিতে তাদের হারালে কি তার স্বাদ আরও মধুর হত? এমনটাই প্রশ্ন ধেয়ে আসে শ্রেয়সের দিকে। জবাব ভারতীয় ব্যাটার বলেন, “আমি পাকিস্তানে খেলিনি। তাই বলতে পারব না, ওখানে জিতলে কেমন অনুভূতি হত। তবে নিরপেক্ষ মাঠে দু’দলের সামনেই চ্যালেঞ্জ ছিল। সেই চ্যালেঞ্জ সামলে জিতেছি। এই জয়ও খুব মিষ্টি।”
কোহলির সঙ্গে বড় জুটি গড়েছেন শ্রেয়স। সেই জুটিই ভারতকে জয়ে নিয়ে গিয়েছে। কোহলির ব্যাটে যে বড় রান খুব তাড়াতাড়ি আসবে তা জানতেন শ্রেয়স। কোহলির রানের খিদে ও পরিশ্রমের কথা বলেছেন তিনি। শ্রেয়স বলেন, “আমরা জানতাম, বিরাট ভাই খুব তাড়াতাড়ি বড় রান পাবে। আগের দিন আমাদের দেড় ঘণ্টা আগে ও অনুশীলনে আসে। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিরাট ভাইয়ের রানের খিদে কতটা। এখনও সকলের থেকে বেশি পরিশ্রম ও করে। ওর ইনিংস সবচেয়ে ভাল জায়গায় বসে আমি দেখেছি।”
এই জয়ের কৃতিত্ব গোটা দলকে দিচ্ছেন শ্রেয়স। বোলার ও ব্যাটারেরা নিজেদের কাজ করেছেন বলেই মত তাঁর। শ্রেয়স বলেন, “আগে আমরা ভাল বল করেছি। পাকিস্তানকে ২৪১ রানে আটকে রাখা সহজ ছিল না। সেটাই করেছে কুলদীপ, হর্ষিতেরা। ফিল্ডিংও খুব ভাল হয়েছে। পরে ব্যাট করার সময় আমরা ভয় পাইনি। ঝুঁকি নিইনি। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করেছি। যখন দরকার, দৌড়ে রান নিয়েছি। আবার যখন দরকার বড় শট খেলেছি। বিরাট ভাই ওর কাজ করেছে। এই জয় গোটা দলের জয়।”