শিয়ালদহ আদালতে আরজি কর মামলার তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিল সিবিআই। জানানো হল, দ্রুত এই মামলার অতিরিক্ত চার্জশিট আদালতে জমা দেওয়া হবে। এ ছাড়া, সিবিআই দাবি করেছে, আরজি কর মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের ফোনের সিম কার্ডটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখনই তা ফেরত দেওয়া যাবে না।
অভিজিৎকে গ্রেফতার করার পরেই তাঁর সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। তা এখনও ফেরত দেওয়া হয়নি। অভিজিৎ এই মুহূর্তে জামিনে মুক্ত। তাঁর পরিবারের তরফে সিম কার্ড ফেরত চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই সিবিআই জানায়, ওই সিম কার্ড তদন্তের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই আপাতত তা ফেরত দেওয়া যাবে না। সিবিআইয়ের আইনজীবী ওই সিম কার্ডটিকে তদন্তের ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
আরজি কর-কাণ্ডে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রথম থেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল নির্যাতিতার পরিবার। এই মামলায় প্রথম যে চার্জশিট সিবিআই দেয়, তাতে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে সঞ্জয় রায়কেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই চার্জশিট অনুযায়ী বিচারপ্রক্রিয়া এগোয় এবং শিয়ালদহ আদালত সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে। তাঁকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার পর থেকেই প্রশ্ন ওঠে, এই মামলায় বাকি অভিযুক্তদের কী হবে। সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগও ওঠে। এই মামলায় এর আগে আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই সময়ে চার্জশিট জমা দিতে পারেনি। ফলে দু’জনেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন। অভিজিৎ মুক্তি পেলেও অন্য মামলায় সন্দীপ এখনও জেল খাটছেন।
আরও পড়ুন:
আরজি করে নির্যাতিতার পরিবার আদালতে জানিয়েছিল, তারা সিবিআইয়ের তদন্তের কোনও অগ্রগতির বিষয়ে জানতে পারছে না। তার ভিত্তিতেই অগ্রগতি রিপোর্ট সোমবার জমা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দ্রুত এই মামলার অতিরিক্ত চার্জশিট জমা দেওয়া হবে আদালতে। কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তা অতিরিক্ত চার্জশিটে জানানো হবে।
নির্যাতিতার পরিবারকে তদন্তের বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হয়নি বলেও দাবি করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, এই মামলার তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। সময়ে সময়ে অগ্রগতির কথা জানানো হয়েছে পরিবারের সদস্যদেরও।