বিরাট কোহলি। ছবি: আইপিএল।
রবিবার ইডেনে বিরাট কোহলি কি আউট ছিলেন? এই নিয়ে বিতর্ক চলছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু মাত্র ১ রানে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হেরে যাওয়ায় বিতর্ক আরও জোরদার হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, কোহলি থেকে গেলে বেঙ্গালুরু জিতে যেত। একমত ফিল সল্ট। পাশাপাশি কলকাতার উইকেটরক্ষক-ব্যাটার এটাও জানাচ্ছেন, কোহলি আদৌ আউট ছিলেন কি না, সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন।
রবিবারের ম্যাচের পর সল্ট মনে করছেন, কোহলি যে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করতে শুরু করেছিলেন, সেই মেজাজে বড় ইনিংস খেলে দিলে হেরেও যেতে পারত কেকেআর। তাই জয়ের জন্য কোহলির আউটকেই কার্যত কৃতিত্ব দিয়েছেন তিনি। কোহলির আউট নিয়ে সল্টের বক্তব্য, ‘‘এটা নিয়ে দু’রকম মতামত রয়েছে। সকলেই বিষয়টা জানে। আমাদের দিক থেকে বলতে পারি, কোহলির উইকেট পেয়ে আমরা বেঁচে গিয়েছি। না হলে বড় সমস্যা হতে পারত।’’
এ বারের আইপিএলে ‘নো’ বলের রিভিউ নিয়ে এখনই মতামত দিতে চান না। সল্ট বলেছেন, ‘‘যে প্রযুক্তি আইপিএলে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা নিয়ে মতামত দেওয়ার সময় এখনও আসেনি। অন্তত ১২ মাস দেখা উচিত। সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার পর বোঝা যাবে বিষয়টা চালিয়ে যাওয়া যাবে কি যাবে না। কারণ এটা নতুন সংযুক্ত হয়েছে ক্রিকেটে। তবে এক জন ক্রিকেটার হিসাবে বলতে পারি, তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার যে কোনও ক্ষেত্রে তুলনায় নিখুঁত সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে। এটা অবশ্যই একটা ভাল দিক।’’
কেকেআরের হয়ে ইনিংস শুরু করছেন সল্ট। ২২ যাচ্ছেন সুনীল নারাইনের সঙ্গে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের সঙ্গে ব্যাট করার অভিজ্ঞতা নিয়ে সল্ট বলেছেন, ‘‘দারুণ অভিজ্ঞতা হচ্ছে। নারাইন অসম্ভব ঠান্ডা মাথার ছেলে। ওপেন করার ক্ষেত্রে ওর অন্য রকম একটা দক্ষতা রয়েছে। ব্যাটিং অর্ডারের যে কোনও জায়গায় খেলতে পারে। সব থেকে ভাল দিকটা হল, নারাইন থাকলে আমি সম্পূর্ণ চাপহীন ভাবে খেলতে পারি। সত্যি বলতে, প্রথম থেকে ২০০ স্ট্রাইক রেট রেখে খেলতে পারি না আমি। অন্তত প্রথম ১০ তো নয়ই। কখনও কখনও হয়তো হয়ে যায়। আমরা এক জন মেরে খেলি। আর এক উইকেট ধরে খেলার চেষ্টা করি। দু’জনে একসঙ্গে আগ্রাসী ব্যাটিং করি না। শুরুটা দু’জনেরই ঠিক মতো হলে এবং গোটা দুয়েক বাউন্ডারি হয়ে গেলে আমরা বড় জুটি তৈরি করতে পারব বলে মনে হয়।’’
মাঠে কী কথা বলেন আপনারা? সল্ট বলেছেন, ‘‘সাধারণ কিছু কথা হয় নারাইনের সঙ্গে। কে কোন বোলারকে সামলানোর চেষ্টা করব ঠিক করে নিই। কেউ বাঁ হাতে স্পিন করে, কেউ ডান হাতে জোরে বল করে। অনেক রকম বোলারকে সামলাতে হয়। তাই কথা বলে ঠিক করে নিলে সুবিধা হয়।’’
কেকেআরকে আরও ম্যাচে তাঁদের জুটি জয় এনে দিতে পারবে বলে আত্মবিশ্বাসী ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। কেকেআর শিবিরের পরিবেশ নিয়েও খুশি সল্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy