আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
চেন্নাই সুপার কিংসের জিততে তখন প্রয়োজন আর মাত্র ৩ রান। সেই সময় শিবম দুবে আউট হয়ে যান। ব্যাট করতে নামেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। সঙ্গে সঙ্গে গোটা মাঠ চিৎকারে ফেটে পড়ে। ধোনিকে ব্যাট করতে দেখতে পাওয়ার আনন্দে মেতে ওঠে চিপক। গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে শুরু হয়ে যায় ‘ধোনি, ধোনি’ চিৎকার।
সোমবার ধোনি ব্যাট করতে নামার সময় চিপকে ১২৫ ডেসিবেলে চিৎকার হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় কলকাতা নাইট রাইডার্সের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে দেখা যায় দু’হাত দিয়ে কান বন্ধ করতে। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ধোনি তিন বলে এক রান করেন। জয়ের রান আসে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ব্যাট থেকে। ধোনি এক রান নিয়ে রুতুরাজকে সুযোগ করে দেন জয়ের রানটি নেওয়ার। ১৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের রান তুলে নেয় চেন্নাই।
ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হয়তো এ বারেই শেষ আইপিএল খেলছেন। তাই ধোনিকে নিয়ে বার বার আবেগে ভাসছে মাঠ। যে মাঠেই ধোনি খেলতে নামছেন, তাঁর জন্য চিৎকার হচ্ছে। চিপক চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ। স্বাভাবিক ভাবেই সেখানে পাঁচ বারের আইপিএলজয়ী অধিনায়কের জন্য চিৎকার বেশি হচ্ছে। গোটা মাঠ হলুদ জার্সি, পতাকায় ঢেকে যাচ্ছে। সেখানে ধোনির জন্য হওয়া চিৎকারে কান পাতা দায়।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা করে ১৩৭ রান। চেন্নাইয়ের বোলারদের দাপটে কেকেআরের কোনও ব্যাটারই বড় রান করতে পারেননি। অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার ৩৪ রান করলেও তিনি ৩২টি বল খেলেছেন। ওপেনার ফিল সল্ট এবং সুনীল নারাইনও রান পাননি। তাই বড় রানও করতে পারেনি কেকেআর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চেন্নাই ১৪ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয়। ৫৮ বলে ৬৭ রান করেন অধিনায়ক গায়কোয়াড়।
চেন্নাইকে হারালে লিগ শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল কেকেআরের কাছে। কিন্তু সেই সুযোগ হারালেন শ্রেয়স আয়ারেরা। লিগ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই রয়ে গেলেন তাঁরা। চার ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। চতুর্থ স্থানে চেন্নাই সুপার কিংস। পাঁচ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট পেয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy