টানা তিন ম্যাচে জয়ের পরে অবশেষে হারলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র
জয়ের হ্যাটট্রিকের পরে অবশেষে হারল চেন্নাই সুপার কিংস। রাজস্থানের চোরাবালিতে আটকে গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিজয়রথ। রাজস্থানকে হারালে জয়পুরের মাঠে সর্বাধিক রান তাড়া করার নজির গড়ত চেন্নাই। সেটা আর হল না। অন্য দিকে ধোনিদের রানে হারিয়ে হারের হ্যাটট্রিকের লজ্জা থেকে নিজেদের বাঁচাল রাজস্থান। দু’ম্যাচ হারের পরে আবার জয়ে ফিরলেন সঞ্জু স্যামসনরা।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। দলের শুরুটাও তেমনই হয়েছিল। চেন্নাইয়ের পেসারদের দাঁড়াতে দেননি রাজস্থানের দুই ব্যাটার। যশস্বী এত মারছিলেন যে অপর প্রান্তে থাকা জস বাটলারকে শান্ত দেখাচ্ছিল। পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে একের পর এক বড় শট খেলেন তিনি। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতরান করেন যশস্বী।
পেসাররা রান দিচ্ছেন দেখে স্পিনারদের হাতে বল তুলে দেন সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চেন্নাইকে প্রথম উইকেট এনে দেন রবীন্দ্র জাডেজা। ২৭ রানের মাথায় বাটলারকে আউট করেন তিনি। কিন্তু যশস্বী তখনও ক্রিজে ছিলেন। ১০ ওভারে ১০০ রান হয়ে গিয়েছিল রাজস্থানের। দেখে মনে হচ্ছিল, ২০০ রান সহজেই পেরিয়ে যাবে।
তবে মাঝের ওভারে রানের গতি কমে। জোড়া উইকেট নিয়ে রাজস্থানকে বড় ধাক্কা দেন তুষার দেশপাণ্ডে। প্রথমে রাজস্থানের অধিনায়ক সঞ্জুকে মাত্র ১৭ রানের মাথায় আউট করেন তিনি। সেই ওভারেই ৪৩ বলে ৭৭ রান করে আউট হন যশস্বী।
রাজস্থানের হয়ে মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরছিলেন শিমরন হেটমায়ার। কিন্তু চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে রান পেলেন না তিনি। পর পর উইকেট পড়তে থাকায় রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। গতির হেরফের করে রাজস্থানের ব্যাটারদের আটকে রাখেন চেন্নাইয়ের পেসাররা।
কিন্তু শেষ দিকে আবার খেলায় ফিরল রাজস্থান। দেবদত্ত পড়িক্কল ও ধ্রুব জুরেল বেশ কিছু বড় শট খেলেন। দুই ভারতীয় ব্যাটারের ব্যাটে ২০০ রানের গণ্ডি পার করে রাজস্থান। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করেন সঞ্জুরা। ধ্রুব ৩৪ রান করে রানআউট হন। পড়িক্কল অপরাজিত থাকেন ২৩ রানে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি চেন্নাইয়ের। পাওয়ার প্লে-র সুবিধা কাজে লাগাতে পারেননি রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও ডেভন কনওয়ে। তাও রুতুরাজ চেষ্টা করলেও কনওয়ের ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। ১৬ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি। রান পাননি অজিঙ্ক রাহানে ও অম্বাতি রায়ড়ু। রুতুরাজ ভাল খেলছিলেন। কিন্তু তিনি ৪৭ রান করে আউট হয়ে গেলে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই।
জরুরি রানরেট ক্রমাগত বাড়ছিল। তখনই হাত খুলে খেলা শুরু করেন শিবম দুবে ও মইন আলি। রাজস্থানের স্পিনারদের নিশানা করেন তাঁরা। বড় শট মারতে থাকেন দুই ব্যাটার। ৫০ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। সেই জুটি ভাঙেন অ্যাডাম জাম্পা। ২৩ রানের মাথায় আউট হন মইন।
শেষ ২৪ বলে চেন্নাইয়ের প্রয়োজন ছিল ৭৪ রান। এক দিকে টিকেছিলেন শিবম। তাঁর কাঁধেই চেন্নাইয়ের জয় নির্ভর করছিল। বড় শট মারছিলেনও তিনি। ১৮ বলে দরকার ছিল ৫৮ রান। ভাল বল করেন সন্দীপ শর্মা। ১২ বলে দরকার ছিল ৪৬ রান। কিন্তু রাজস্থানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেই রান তুলতে পারেনি চেন্নাই। অর্ধশতরান করেও দলকে জেতাতে পারেননি শিবম। চেন্নাইয়ের ইনিংস শেষ হয় ১৭০ রানে। ধোনিরা হারেন ৩২ রানে। ব্যাট করার সুযোগই পেলেন না চেন্নাইয়ের অধিনায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy