যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ১৫ জনের দলে রাখা হয়েছে মহম্মদ শামি এবং জসপ্রীত বুমরাহকে। কিন্তু বুমরাহ যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলবেনই এমনটা নিশ্চিত করে বলতে পারলেন না অধিনায়ক রোহিত শর্মা বা প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকর। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন ভারতীয় দলের পেস আক্রমণের ভরসা সেই বুমরাহ এবং শামি।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া হয়েছে শামিকে। এর পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক দিনের দল এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও নেওয়া হয়েছে তাঁকে। শামিকে নেওয়ার প্রসঙ্গে আগরকর বলেন, “২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে শামি খেলতে পারছে না। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের দলে নেওয়া হয়েছে তাঁকে। দল শামির উপর ভরসা রেখেছে। সেই জন্যই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে নেওয়া হয়েছে।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে ভারত তিন জন পেসারকে রেখেছে। বুমরাহ এবং শামির সঙ্গে রয়েছেন বাঁহাতি পেসার আরশদীপ সিংহ। প্রয়োজনে পেস বোলিং করতে পারেন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্যও। বাদ পড়েছেন মহম্মদ সিরাজ।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে খেলতে পারেননি শামি। তাঁর চোট তখনও সারেনি। বুমরাহ একাই দলকে টানছিলেন। পাঁচটি ম্যাচে ৩২টি উইকেট নিয়েছিলেন। কিন্তু চোটের কারণে সিডনি টেস্টের শেষ ইনিংসে বল করতে পারেননি। তার পর থেকে বুমরাহের চোট নিয়ে তেমন কোনও খবর পাওয়া যায়নি। মাঝে শোনা গিয়েছিল, বুমরাহকে বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। সেটা যদিও বুমরাহ নিজেই ভুয়ো খবর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এর মাঝেই শনিবার দল ঘোষণার সময় আগরকর বুঝিয়ে দিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বুমরাহ খেলতে না পারলে দলের ভরসা শামিই।
ভারতীয় দলের পেস আক্রমণ যে এখনও শুধু বুমরাহ আর শামিকে ঘিরেই তৈরি হয় তা বুঝিয়ে দিলেন রোহিত এবং আগরকর। বুমরাহ না থাকলে শামি এবং শামি না থাকলে বুমরাহ। ভারতের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দেন তাঁরাই। এখনও তাঁদের মতো ভরসা দেওয়ার পেসার তৈরি হয়নি ভারতের।
কিন্তু চোট সারিয়ে ফেরা শামি কতটা সুস্থ? আগরকর বলেন, “সাদা বলের ক্রিকেটে খেলার মতো ফিটনেস শামির রয়েছে। আমরা চাইছিলাম ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলুক। কিন্তু ওর হাঁটুর যা অবস্থা ছিল তাতে চার বা পাঁচ দিনের ম্যাচ খেলা সম্ভব হত না। সাদা বলের ক্রিকেটে শামি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সব ম্যাচ খেলেছে। বিজয় হজারে ট্রফিতেও কিছু ম্যাচ খেলেছে। বুমরাহকে নিয়ে সংশয় রয়েছে। এমন অবস্থায় শামি যখন সুস্থ রয়েছে তখন ওকে দলে নিতেই হবে। শামির ফিটনেস দেখে নেওয়ার জন্যই টি-টোয়েন্টি দলে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার চাপটাও রয়েছে। শামি দুর্দান্ত বোলার। সুস্থ থাকলে ও তো খেলবেই। আশা করছি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে ম্যাচগুলো খেলে শামি নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার জায়গায় পৌঁছে যাবে।” রোহিতও শামিকে দলে পেয়ে খুশি। তিনি বলেন, “সাদা বলের ক্রিকেটে শামি কতটা ভয়ঙ্কর তা আমরা জানি। সেটা এক দিনের বিশ্বকাপে দেখা গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy