কেকেআরের পক্ষে একটা বড় সুবিধা, দীর্ঘ দিনের বিরতি। গত রবিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছেন রিঙ্কু সিংহেরা। — ফাইল চিত্র
একটাই লক্ষ্য। জয়। শনিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে নামার আগে কলকাতার কাছে আর দ্বিতীয় কোনও বিকল্প নেই। শুধু জিতলেই হবে না, বড় ব্যবধানে জিততে হবে। খেয়াল রাখতে হবে বাকি দলের দিকেও। রবিবার গ্রুপ পর্বের সব খেলা শেষ না হওয়ার আগে পর্যন্ত নিশ্চিন্তি নেই নীতীশ রানাদের। কারণ আইপিএলের ছ’টি দল লড়ছে তিনটি জায়গার জন্যে।
কেকেআরের পক্ষে একটা বড় সুবিধা, দীর্ঘ দিনের বিরতি। গত রবিবার চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছেন রিঙ্কু সিংহেরা। পাঁচ দিনের বিরতি নিয়ে তরতাজা হয়ে নামার সুযোগ হয়েছে তাদের। কিন্তু প্রস্তুতির দিক থেকে তাঁরা পিছিয়ে থাকবেন। বৃষ্টির জন্য ম্যাচের আগের দিনও ভাল ভাবে অনুশীলন করা গেল না। তার আগের দিন পুরোটাই বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। ইডেনে এসেও হোটেলে ফিরে যেতে হয়।
কেকেআরের পক্ষে বড় চিন্তা কলকাতার আবহাওয়া। গত দু’দিন নিয়মিত বিকেলের দিকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। শনিবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কোনও ভাবে বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে গেলে কলকাতার আশা সেখানেই শেষ হয়ে যাবে। ১৩ পয়েন্টে কোনও ভাবেই প্লে-অফে যাওয়ার সুযোগ নেই। বরং সুবিধা হবে লখনউয়ের। এমনিতেই তারা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আর একটি পয়েন্ট পেলেই তাদের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত।
লখনউয়ের বিরুদ্ধে জিততে গেলে তিনটি বিভাগেই ভাল খেলতে হবে কলকাতাকে। ওপেনিং থেকে মিডল অর্ডার, বোলিং— সবেতেই নিজেদের ছাপিয়ে যেতে হবে। আগে ব্যাট করলে বড় রান তোলা যেমন লক্ষ্য থাকবে জেসন রয়দের কাছে, তেমনই পরে ব্যাট করলে কম ওভারে সেই রান তুলে ফেলতে হবে। তবে লখনউ যদি আগে ব্যাট করে দুশোর উপর রান তুলে ফেলে, তা হলে এমনিই চাপে পড়ে যাবে কলকাতা।
ঘরের মাঠে সুবিধা পাচ্ছেন না বলে নীতীশরা আগেই অভিযোগ করেছেন। এখনও পর্যন্ত ছ’টি হোম ম্যাচের চারটিতে হারতে হয়েছে। শনিবার সেই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতও। তিনি বলেছিলেন, অধিনায়ক নীতীশ রানা বলেছেন, ইডেনে ঘরের মাঠের সুবিধা পাচ্ছে না কেকেআর। আপনার এ ব্যাপারে কী বক্তব্য? পণ্ডিত বলেছিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, আপনাদের বুঝতে কোথাও ভুল হয়েছে। ঘরের মাঠে আমরা কিছু প্রত্যাশা করি। বহু বছর ধরে কোচিং করাচ্ছি। সব কোচ বা অধিনায়কেরই এই প্রত্যাশা থাকে। ঘরের মাঠে সবাই জিততে চায়। আমরা ইডেনের পিচ বা অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলছি না। আমরা এখানে কিছু ম্যাচ জিততে না পারার কথা বলছি। দুর্ভাগ্যজনক হলেও এটা সত্যি যে, আমরা ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা কাজে লাগাতে পারিনি। পুরো প্রতিযোগিতার দিকে তাকালে দেখবেন, অনেক দলই ঘরের মাঠের সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি।’’
ইডেনে আপনারা যেমন উইকেট পেয়েছেন, তাতে কি সন্তুষ্ট? পণ্ডিত বলেছিলেন, ‘‘আপনারা একই প্রশ্ন করছেন। আগেই বললাম, আমরা এখানে যে ম্যাচগুলো খেলেছি, সেগুলোতে ঘরের মাঠের সুবিধা আমাদের নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু পারিনি আমরা। ঘরের মাঠে খেলার সুবিধা নিতে না পারা আমাদেরই ব্যর্থতা। আর উইকেটের কথা যদি বলেন, তা হলে বলব সব মাঠের উইকেটেই হঠাৎ পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের উইকেটের চরিত্রও বদলে গিয়েছে। অনেক সময় এ রকম হয়। পিচ নিয়ে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy