Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪
LSG vs DC

আইপিএলে জয়ে ফিরলেন পন্থরা, লখনউয়ের বিরুদ্ধে দিল্লিকে জেতালেন নবাগত ফ্রেজ়ার

জয়ে ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। টানা দু’টি ম্যাচে হারের পর আবার জয়ের মুখ দেখল ঋষভ পন্থের দল। শুক্রবার একানা স্টেডিয়ামে তারা লখনউ সুপার জায়ান্টকে হারিয়ে দিল ৬ উইকেটে।

cricket

জেক ফ্রেজ়ার ম্যাকগুর্ক। ছবি: আইপিএল

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:১১
Share: Save:

জয়ে ফিরল দিল্লি ক্যাপিটালস। টানা দু’টি ম্যাচে হারের পর আবার জয়ের মুখ দেখল ঋষভ পন্থের দল। শুক্রবার একানা স্টেডিয়ামে তারা লখনউ সুপার জায়ান্টকে হারিয়ে দিল ৬ উইকেটে। দিল্লির জয়ে অবদান রাখলেন তরুণ ক্রিকেটার জেক ফ্রেজ়ার-ম্যাকগুর্ক। যোগ্য সঙ্গত দিলেন পন্থ নিজেও। লখনউয়ের আয়ুষ বাদোনির লড়াই বৃথা গেল। ঘরের মাঠে এ বার প্রথম ম্যাচ হারল লখনউ।

দিল্লির হয়ে শুরুটা ভালই করেছিলেন পৃথ্বী শ। চালিয়েই খেলছিলেন ভারতীয় ওপেনার। তবে উল্টো দিকে থাকা ডেভিড ওয়ার্নার আউট হলেন দুর্ভাগ্যজনক ভাবে। যশ ঠাকুরের বল তাঁর প্যাডে লেগে মাটিতে পড়ে স্টাম্প ফেলে দেয়। হতাশ হয়ে তাকিয়ে দেখেন ওয়ার্নার। তিন নম্বরে নামা ফ্রেজ়ার দ্বিতীয় বলেই ঠাকুরকে ছয় মারেন। পৃথ্বীর সঙ্গে জুটি বেঁধে দ্রুত রান তুলতে থাকেন।

দলের ৬৩ রানের মাথায় ফেরেন পৃথ্বী। করেন ২২ বলে ৩২ রান। দ্বিতীয় উইকেট পড়ার পরে আর রোখা যায়নি দিল্লিকে। মাঝে দু’টি ওভার বাদ দিলে দিল্লির রান তোলার গতি ভালই ছিল। ১৩তম ওভারে ক্রুণাল পাণ্ড্যকে টানা তিনটি ছয় মারেন ফ্রেজ়‌ার। সেই ওভার থেকে ২১ রান ওঠে। ক্রুণালের আগের একটি ওভার থেকে ১৫ রান ওঠে।

১৪তম ওভারে অর্ধশতরান পূরণ করেন ফ্রেজ়‌ার। তার পরের ওভারেই আউট হয়ে যান। নবীন উল হকের বলে আর্শাদ খানের হাতে ক্যাচ দেন। ভাল খেলছিলেন পন্থ। কিন্তু উল্টো দিকে সঙ্গী ফিরে যাওয়ায় তাঁরও মনঃসংযোগ নড়ে যায়। ১৬তম ওভারে রবি বিষ্ণোইকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ফস্কান। স্টাম্প করেন কেএল রাহুল। ৪টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ২৪ বলে ৪১ করেন পন্থ। তবে দিল্লির জয় তাতে আটকায়নি।

আগে ব্যাট করতে নেমে লখনউ শুরুটা ভালই করেছিল। প্রথম বলেই চার মারেন কুইন্টন ডি’কক। সেই ওভারে ওঠে ১০ রান। পাওয়ার প্লে-তে ঠিক যে ভাবে শুরু করা দরকার, সে ভাবেই খেলছিলেন ডি’কক। কিন্তু দীর্ঘ ক্ষণ একই ছন্দ ধরে রাখতে পারেননি। তৃতীয় ওভারেই খলিল আহমেদের বলে এলবিডব্লিউ হন। সেই যে লখনউয়ের উইকেট পড়ল, এর পর একে একে ব্যাটারেরা এলেন এবং গেলেন।

দেবদত্ত পাড়িক্কল (৩) এই ম্যাচেও ফর্মে ফিরতে পারলেন না। ব্যর্থ মার্কাস স্টোইনিস (৮), নিকোলাস পুরান (০), দীপক হুডা (১০), ক্রুণাল পাণ্ড্যেরাও (৩)। কুলদীপের বলের জবাবই খুঁজে পাননি তাঁরা। এমনিতেই লখনউয়ের পিচ বেশ মন্থর বলে পরিচিত। স্পিনারদের সাহায্য করে। গত বিশ্বকাপেও এ জিনিস দেখা গিয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার যে পিচে খেলা হয়েছে সেখানে রান করা মোটেই সহজ ছিল না। লড়াই করেন কেএল রাহুল। ৫টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে ২২ বলে ৩৯ করেন।

তবে শেষ দিকে বাদোনি ও রকম খেলবেন কেউ ভাবতে পারেননি। তিনি যে সময়ে ব্যাট করতে এসেছিলেন, তখন ছ’উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল লখনউ। কিছু ক্ষণ পরে ক্রুণাল ফেরায় সাত উইকেট হারায় তারা। সেখান থেকে আর্শাদ খানকে নিয়ে একা লড়াই করলেন। ১৮তম ওভারে আর্শাদের একটি সহজ ক্যাচ ফেলে দেন পৃথ্বী শ। শেষ পর্যন্ত অর্ধশতরান করে অপরাজিত থাকেন বাদোনি। তা অবশ্য কাজে লাগেনি।

ভাল বল করলেন কুলদীপ। গত ২৮ মার্চ রাজস্থানের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। চোটের জন্য বেশ কয়েকটি ম্যাচে তাঁকে পায়নি দিল্লি। দলে ফিরেই অবদান রাখলেন বাঁ হাতি চায়নাম্যান স্পিনার। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি দলে ঢোকার দাবিও জানিয়ে রাখলেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE