(বাঁ দিকে) হার্দিক পাণ্ড্য এবং রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
আইপিএলের কারণে সমর্থকদের উন্মাদনা কোন জায়গায় যেতে পারে তার উদাহরণ দেখল মহারাষ্ট্র। একটি ম্যাচে এক দলকে কটাক্ষের জেরে খুন হতে হল এক বৃদ্ধকে। যাঁর হাতে খুন হয়েছেন তিনিও প্রায় সমবয়সি। নেপথ্যে রোহিত শর্মা বনাম হার্দিক পাণ্ড্যের লড়াই রয়েছে কি না, তা নিয়েও সন্দেহ থাকছে। নিরুপদ্রব এক গ্রামে এ রকম একটি ঘটনায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, অতীতে কোনও দিন এ রকম হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের গ্রাম হনমন্তওয়াড়িতে। কোলহাপুর থেকেও বেশ অনেকটা দূরে এই গ্রাম থেকে কেউ কোনও দিন ক্রিকেটার হননি। মাঠে গিয়ে খেলাও দেখেছেন হাতেগোনা কয়েক জন। কিন্তু আইপিএল নিয়ে সেই গ্রামে উৎসাহ চরম। অনেকেই অ্যাপের সাহায্যে জুয়া খেলে টাকা পেয়েছেন। তাতে আগ্রহ আরও বেড়েছে। তা ছাড়া, এমনিতে শান্তিপূর্ণ জীবনই কাটান বাসিন্দারা, যাঁরা মূলত কৃষক।
গত ২৭ মার্চ খেলা ছিল হায়দরাবাদ বনাম মুম্বইয়ের। সেই ম্যাচে হায়দরাবাদ ২৭৭ রান তোলে, যা আইপিএলে সর্বোচ্চ। রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক রোহিত শর্মা ফিরে যান। নিজের ঘরে বসে বন্ধু ৬৫ বছরের বন্দোপন্থ তিবিলেকে নিয়ে খেলা দেখছিলেন ৭০ বছরের বলবন্ত ঝাঁজগে। রোহিত আউট হওয়ার পর তিনি মজা করে বলেছিলেন, মুম্বই হারবে। জানতেন না, সেটাই তাঁর জীবনের শেষ কথা।
শোনামাত্রই ঝাঁজগে রেগে যান। হঠাৎ কেন তিনি রেগে যান, তার কারণ জানা যায়নি। মনে করা হচ্ছে, ঝাঁজগে হার্দিকের ভক্ত। ‘মুম্বই হারবে’ এই মন্তব্য তিনি মেনে নিতে পারেননি। তর্কাতর্কি গড়ায় হাতাহাতিতে। এর পর তিবিলেকে তিনি বাঁশ দিয়ে মারতে থাকেন। তিবিলে যখন গুরুতর আহত, তখন ঝাঁজগের ছেলে তাঁর মাথার পিছনে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তিবিলেকে। তবে বাঁচানো যায়নি। দু’দিন পরে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ গ্রেফতার করেছে ঝাঁজগেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy