Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪
সেরা অম্বাতি রায়ডু: ৩৭ বলে ৬৩: মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জয়ী ৯ রানে

বাজিগরের সামনে সেই মুম্বই বজ্রাঘাত

ম্যায় জাবরা ফ্যান হো গায়া। কোয়ি না কোয়ি চাহিয়ে প্যায়ার করনেওয়ালা। ইডেনে বাজছে একের পর এক গান। গ্যালারিতে শোনা যাচ্ছে ‘কেকেআর-কেকেআর’ চিৎকার।

সোহম দে
শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৭ ০৪:৪২
Share: Save:

ম্যায় জাবরা ফ্যান হো গায়া।

কোয়ি না কোয়ি চাহিয়ে প্যায়ার করনেওয়ালা।

ইডেনে বাজছে একের পর এক গান। গ্যালারিতে শোনা যাচ্ছে ‘কেকেআর-কেকেআর’ চিৎকার।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৪৯ রানে অলআউট করা থেকে রবিন উথাপ্পার দাপুটে সমস্ত ইনিংস, এ বারের ইডেন সাক্ষী থেকেছে স্মরণীয় অনেক রাতের। শুধু কমতি ছিল একটাই। কর্পোরেট বক্সটাই যে ফাঁকা ছিল।

মুম্বই ইনিংসের এগারো নম্বর ওভারে অবশ্য সেই শূন্যস্থানটাও পূরণ হল। ইডেন তখন যেন উত্তাল। বাইশ গজের থেকেও সবার চোখ চলে গিয়েছে সেই কর্পোরেট বক্সের দিকে। নাইটের সবচেয়ে বড় ভক্ত তাঁর ‘টিম’ নিয়ে হাজির। তিনি— কিংগ খান। সাদা জামা পরে, গ্যালারির দিকে হাত নাড়িয়ে যিনি চেনা মেজাজেই। শাহরুখ খানের সঙ্গে তখন পাল্লা দিচ্ছে ইডেন গ্যালারিও। হোক না প্রবল বৃষ্টি। আবহাওয়াকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েও তো ইডেন হাউসফুল। হলুদ পতাকায় মোড়া গ্যালারি থেকে শব্দের ডেসিবেল যে কমছে না।

গ্যালারির আবহ উৎসবের হলেও বাইশ গজের আমেজটা ছিল বিসর্জনের। ম্যাচ শেষে গম্ভীরের মুখে তখন হতাশা। দেখে মনে হচ্ছে যেন এলিমিনেটর নিয়ে আগাম ছক কষছেন। জাক কালিসের মুখে চিন্তা। সন্ধের ইডেন বাদশার আগমনে আনন্দে মাতোয়ারা হলেও রাতের ইডেন থেকে একটাই প্রশ্ন যেন ভেসে আসছে— এলিমিনেটরে পারবে তো কেকেআর?

শনিবার বিকেলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়ের পরে প্রথম দুইয়ে শেষ করতে গেলে জিততেই হতো নাইটদের। টসের সময় মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়ে গেলেন, লাসিথ মালিঙ্গা, হরভজন সিংহ, মিচেল ম্যাক্লেনাঘান, পার্থিব পটেল, নীতিশ রানার মতো ক্রিকেটাররা এই ম্যাচে নেই। তখন মনে হয়েছিল ‘বি’ দলের বিরুদ্ধে হয়তো জিতবে কেকেআর। কিন্তু আইপিএল মানে এমন একটা অনিশ্চিত গ্রহ, যেখানে কোনও কিছু নিয়েই আগাম আঁচ পাওয়া যায় না। হলও ঠিক তাই। বাদশার সামনে সম্মানের ম্যাচে মুম্বইকে হারানোর স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল নাইটদের। ফলে এখন শুধু অপেক্ষা— এলিমিনেটরে পঞ্জাব না হায়দরাবাদ।

টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন গম্ভীর। মুম্বইয়ের হয়ে ওপেন করেন লেন্ডল সিমন্স ও সৌরভ তিওয়ারি। তৃতীয় ওভারেই শূন্য রানে আউট হয়ে যান সিমন্স। রোহিত শর্মা চারটে বাউন্ডারি ও একটি ছক্কায় ওয়ার্ম আপ শুরু করেও অঙ্কিত রাজপুতের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে গেলেন। মুম্বই দুটো গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারালেও শীর্ষে যাওয়ার লড়াইয়ে দলের ত্রাতা হয়ে উঠলেন অম্বাতি রায়ডু (৬৩) ও সৌরভ তিওয়ারি (৫২)। ২০ ওভারে মুম্বই পৌঁছয় ১৭৩ রানে।

ওপেনার নারাইন শূন্য রানে আউট হলেন। গম্ভীর বেশ কয়েকটা সুন্দর শট খেলেও ২১ রানে ক্যাচ দিলেন কর্ণ শর্মাকে। ক্রিস লিনও (২৬) শুরু করে শেষ করতে পারলেন না। রবিন উথাপ্পা করেন মাত্র ২। তাতেও মণীশ আর গ্র্যান্ডহোম জয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন। স্ট্রাইক পাল্টে, সিঙ্গলস নিয়ে, আবার দরকার পড়লে চালিয়ে খেললেন দুই ব্যাটসম্যান। ওয়াংখে়ড়েতে ব্যাট হাতে নাইটদের হারিয়েছিলেন হার্দিক। এ দিন বল হাতে ম্যাজিক দেখালেন। ১৫ ওভারের শুরুতেই বোল্ড করলেন গ্র্যান্ডহোমকে (২৯)। ১৮ নম্বর ওভারে মণীশ পাণ্ডেকে (৩৩) তুললেন। শেষ ওভারে বাকি ছিল ১৪ রান। ইডেন তখন বুঝে গিয়েছে, আজ আর হচ্ছে না। কারণ বল হাতে যে হার্দিক। শেষ ওভারে দিলেন ৪। এলেন, দেখলেন, নাইটদের এলিমিনেটরে পাঠিয়ে দিলেন।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy