কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের সঙ্গে আন্দ্রে রাসেল। —ফাইল চিত্র।
গত বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের কোচ হিসাবে যোগ দেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। একাধিক রাজ্য দলকে রঞ্জি জিতিয়েছেন তিনি। সেই পণ্ডিতকে গত বছর কোচ করে আইপিএল জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন শাহরুখ খান। কিন্তু মাত্র ছ’টি ম্যাচ জেতায় প্লে অফেও উঠতে পারেনি কেকেআর। সেই পণ্ডিত কেমন কোচ? প্রশ্নের উত্তরে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন আন্দ্রে রাসেল।
বুধবারই কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড উইজ়ি সমালোচনা করেছিলেন পণ্ডিতের। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে রাসেলও মোটেই দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন না কোচকে। বরং তাঁর কথাতে রয়েছে মানিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত। পণ্ডিতের একটুও সমালোচনা না করেও রাসেল বৃহস্পতিবার বলেন, “দলে এটা ওঁর দ্বিতীয় বছর। উনি স্বাধীন ভাবে খেলতে দেন আমাদের। সকলের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক। তবে আমরা পেশাদার ক্রিকেটার। বিভিন্ন দেশের টি-টোয়েন্টি লিগে খেলি। কোচ যে ভাবে বলেন, সে ভাবে খেলাটাই আমাদের কাজ।”
রাসেলের কথায় পণ্ডিতকে নিয়ে তেমন কোনও বাড়তি উচ্ছ্বাস ছিল না। তিনি কোচকে এক বাক্যে সেরাও বলেননি। বরং বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি পেশাদার ক্রিকেটার, তাই সকলের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে খেলতে পারেন।
রাজ্য সংস্থায় কোচ পণ্ডিতকে সকলেই সম্মান করেন। আবার ভয়ও পান। কারণ পণ্ডিত কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রাখেন ক্রিকেটারদের। তাঁর কথার অন্যথা হলে শাস্তিও পেতে হয় ক্রিকেটারদের। পণ্ডিতকে কোচ করার সময় অনেকের মনেই সংশয় ছিল, এমন কঠোর মানসিকতার এক জনকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারেরা আদৌ কতটা মেনে নেবেন। সেই সংশয় যে অমূলক নয় তা বুঝিয়ে দিয়েছেন নামিবিয়ার অলরাউন্ডার উইজ়ি।
কেকেআরের প্রাক্তন ক্রিকেটার উইজ়ি বুধবার বলেছিলেন, “কেকেআর দলের মধ্যে কিছু ঘটনা চলে। পর্দার আড়ালে কিছু না কিছু চলে। তার অনেক কিছুই ক্রিকেটারেরা পছন্দ করে না। সাজঘরে অনেক পরিস্থিতিই বেশ কঠিন মনে হয় সকলের। দলের নতুন কোচের কিছু বিষয় অনেকেই পছন্দ করে না। তিনি দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে বসে ঠিক মতো আলোচনাও করেন না।”
নামিবিয়ার অলরাউন্ডার আরও বলেছিলেন, ‘‘বেশ কিছু পরিবর্তন ছেলেদের হতাশ করে তুলেছিল। কোচ অনেক কিছু পরিবর্তন করলেও সাফল্য দিতে পারেননি। বিশেষ করে বিদেশি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভাল করে কথাও বলেন না কেকেআরের নতুন কোচ।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘ভারতে সকলে তাঁকে কঠিন মানসিকতার কোচ হিসাবে চেনে। শৃঙ্খলার সঙ্গে কোনও রকম সমঝোতা করতে রাজি হন না। কেউ এসে বলবেন, কী পরতে হবে, কী করা যাবে বা কী করা যাবে না, এ সব ছেলেরা অনেকেই পছন্দ করে না। বিশেষ করে যারা বিদেশি এবং দেশের হয়ে অনেক দিন ধরে খেলছে। নানা রকম সমস্যা রয়েছে। আমি মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করতাম। তবে দলে আমার থেকে অনেক বেশি জেদি কিছু ক্রিকেটার ছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy