রাধিকা মার্চেন্ট। ছবি : সংগৃহীত।
মুকেশ অম্বানী দেশের ধনীশ্রেষ্ঠ। তাঁর পরিবারের এলাহি জীবনযাপন দেখে ইদানীং অনেকে তাঁকে আড়ালে ‘প্রজাহীন রাজা’ও বলে থাকেন। কারণ অম্বানীদের আচার-অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে ‘রেহেন সেহেন’— সবই রাজকীয়। সাজগোজেও অম্বানী পরিবারের মেয়ে-বৌমারা টক্কর দেন বলিউডের নায়িকাদের। তবে ফ্যাশন দুনিয়া বলছে, রাজকীয় হাবেভাবে সবার থেকে এগিয়ে রয়েছেন অম্বানী পরিবারের ছোট বউমাটি। রাধিকা মার্চেন্ট, যিনি গত জুলাই মাসেই মুকেশের কনিষ্ঠপুত্র অনন্ত অম্বানীকে বিয়ে করে অম্বানী পরিবারের সদস্য হয়েছেন। ফ্যাশন জগতের তারকাদের মতে, তার পর থেকে রাধিকার সাজগোজে রাজকুমারীসুলভ ভাব দেখা যাচ্ছে। যেমনটি দেখা গিয়েছে অম্বানীদের বড়দিনের পার্টিতেও।
বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর রাতে অম্বানীরা ক্রিসমাস পার্টির আয়োজন করেছিল জামনগরে। সেই পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন অম্বানী পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলিউড তারকারাও। সেই পার্টিতে রাধিকার পোশাক চয়ন দেখে মুগ্ধ অনেকেই। অনুরাগীরা তো বটেই বলিউডের নামী পোশাক শিল্পীরাও ইনস্টাগ্রামে রাধিকার ছবি পছন্দ করেছেন। কেউ কেউ লিখেওছেন, ‘‘রাধিকাকে রাজকুমারীর মতো দেখাচ্ছে।’’
নাহ রাধিকা কিন্তু কোনও ঝলমলে পোশাক বা প্রচুর গয়না পরে বড়দিনের পার্টিতে আসেননি। বরং তাঁর সাজগোজ ছিল সহজ এবং বাহুল্যবর্জিত। আসলে ‘রাজকুমারী’ বলতে আভিজাত্য এবং লাবণ্যের কথা বলতে চেয়েছে ফ্যাশন জগতের ব্যক্তিত্বরা। যা রাধিকার সাজে স্পষ্ট চোখে পড়ছিল।
রাধিকা পরেছিলেন একটি গাঢ় লাল রঙের মিনি ড্রেস। সামান্য ঝিকমিকে কাপড়ের তৈরি ড্রেসটির গলা ‘টার্টল নেক’ স্টাইলের। ওই ধরনের পোশাকে গলা পর্যন্ত কলারে ঢাকা থাকে। তবে সাধারণ কলার নয়। গলার কাছে খানিকটা মুড়ে জড়ো হয়ে থাকে পোশাকের কাপড়। ফরাসি ব্র্যান্ড সেলিনের তৈরি ওই পোশাকের হেমলাইন এবং হাতাতেও রয়েছে বিশেষত্ব। জামার নীচের অংশটি ঝালর দেওয়া। ফুল হাতা স্লিভস দু’টি সামান্য ঢোলা হয়ে আবার কব্জির কাছে এসে সরু হয়ে গিয়েছে। ফ্যাশন জগতে ওই ধরনের হাতাকে বলা হয় বিশপ স্লিভস। ওই পোশাকের সঙ্গে একটি সাদা ফারের লম্বা ঝুলের স্লিভলেস জ্যাকেট পরেছেন রাধিকা। সঙ্গে পরেছেন কালো স্টকিংস আর কালো বুট।
সম্প্রতি নিজের চুলের স্টাইল বদলেছেন রাধিকা। তা নিয়েও কম আলোচনা হয়নি। বড়দিনে সেই চুলকে অল্প ছেড়ে অল্প বেঁধে রেখেছেন রাধিকা। সঙ্গে হালকা মেক আপ। কানে হিরের ঝোলা দুল। হাতে একটি ঘড়ি পরেই সাজ শেষ করেছেন অনন্ত-পত্নী। আর এই সাজ দেখেই ফ্যাশন দুনিয়া রায় দিয়েছেন রাধিকা জানেন সাজের ক্ষেত্রে কোথায় থামতে হয়। কতটুকু হলেই যথেষ্ট। এই পরিমিতি বোধই আভিজাত্যের পরিচয়। যে আভিজাত্য অর্জন করা কঠিন। কিন্তু রাজ পরিবারের মতো পারিবারিক ঐতিহ্য এবং শিক্ষা থাকলে সম্ভব।
ফ্যাশন দুনিয়ার অনেকেই রাধিকাকে তাঁর ওই পরিমিতি বোধের জন্য ঢেলে নম্বর দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, খুব সহজ, অনায়াস একটা আভিজাত্য রয়েছে রাধিকার স্টাইলে। যা সত্যিকারের রাজকুমারীর মতোই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy