পাঁচ বার প্রতিযোগিতার সেরা হয়েছেন রোহিত শর্মারা। তার পরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস চার বার ও গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্স দু’বার ট্রফি জিতেছে। কিন্তু এখনও এমন অনেক দল রয়েছে যারা এক বারও ট্রফি জিততে পারেনি। তার এক কারণ যদি হয় প্রতি মরসুমে দলে প্রচুর বদল করা, তা হলে আরও একটি কারণ অধিনায়কত্বেও ব্যাপক বদল।
আইপিএলের অন্যতম সফল দুই অধিনায়ক ফাইল চিত্র
আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি বার ট্রফি জিতেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। পাঁচ বার প্রতিযোগিতার সেরা হয়েছেন রোহিত শর্মারা। তার পরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস চার বার ও গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বে কলকাতা নাইট রাইডার্স দু’বার ট্রফি জিতেছে। কিন্তু এখনও এমন অনেক দল রয়েছে যারা এক বারও ট্রফি জিততে পারেনি। তার এক কারণ যদি হয় প্রতি মরসুমে দলে প্রচুর বদল করা, তা হলে আরও একটি কারণ অধিনায়কত্বেও ব্যাপক বদল। আইপিএলের ইতিহাসে সব থেকে বেশি বার অধিনায়ক বদলের তালিকায় সব থেকে উপরে যে তিন দল রয়েছে তারা হল পঞ্জাব কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
পঞ্জাব কিংস (১৪ অধিনায়ক): আইপিএলের ১৫ বছরে প্রীতি জিন্টার পঞ্জাবের অধিনায়কত্ব করেছেন সব থেকে বেশি ১৪ জন। দেখে বোঝা যাচ্ছে প্রায় প্রতি মরসুমে অধিনায়ক বদল করা হয়েছে। কিন্তু এক বারও ট্রফি জিততে পারেনি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
২০০৮ সালে এই দলের অধিনায়ক ছিলেন যুবরাজ সিংহ। ২০১০ সালে অধিনায়ক করা হয় শ্রীলঙ্কার কুমার সঙ্গকারাকে। সেই মরসুমে একটি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন তাঁর দেশেরই মাহেলা জয়বর্ধনে। ২০১১ সালে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট পঞ্জাবের দায়িত্ব পান। ২০১২ ও ২০১৩ সালে বেশ কয়েকটি ম্যাচে খেলেননি গিলক্রিস্ট। সেই সব ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন তাঁর দেশেরই ডেভিড হাসি।
২০১৪ সালে পঞ্জাবের অধিনায়ক করা হয় অস্ট্রেলিয়ার জর্জ বেইলিকে। তিনিই একমাত্র অধিনায়ক যিনি পঞ্জাবকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রফি জেতাতে পারেননি। ২০১৫ সালে একটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন বীরেন্দ্র সহবাগ। ২০১৬ সালে দলের নতুন অধিনায়ক করা হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলারকে। মরসুমের মাঝপথেই দায়িত্ব বদল হয়। অধিনায়ক হল মুরলী বিজয়। পরের বছর পঞ্জাবের অধিনায়ক হন অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ২০১৮ সালে ফের নেতৃত্বে বদল হয় পঞ্জাবে। দায়িত্ব নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরের বছরই অধিনায়ক হন লোকেশ রাহুল। এ বারের আইপিএলে দলের দায়িত্ব দেওয়া হয় ময়ঙ্ক অগ্রবালকে। একটি ম্যাচে তাঁর জায়গায় অধিনায়কত্ব করেছেন শিখর ধবন।
দিল্লি ক্যাপিটালস (১৩ অধিনায়ক): পঞ্জাবের পরেই রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। তাদের দলে অধিনায়কত্ব করেছেন ১৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এক বারও ট্রফি জিততে পারেনি তারা।
দিল্লির প্রথম অধিনায়ক ছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। ২০০৮ সাল থেকে দু’বছর তিনি অধিনায়ক থাকার পরে গৌতম গম্ভীরকে অধিনায়ক করে তারা। ২০১১ সালে দীনেশ কার্তিক ও অস্ট্রেলিয়ার জেমস হোপসের নেতৃত্বেও খেলে দিল্লি।
২০১২ সালে দলের অধিনায়ক হন মাহেলা জয়বর্ধনে। ২০১২ ও ২০১৩ সালে তিনি অধিনায়ক ছিলেন। কিন্তু এই দু’বছরে জয়বর্ধনে ছাড়াও নিউজিল্যান্ডের রস টেলর ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নারও দিল্লিকে নেতৃত্ব দেন। ২০১৪ সালে অধিনায়ক হন ইংল্যান্ডের কেভিন পিটারসন। তবে সে বছর প্রথম তিন ম্যাচে অধিনায়কের ভূমিকা পালন করেন দীনেশ কার্তিক। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জেপি ডুমিনিকে অধিনায়ক করা হয়। পরের বছরই দায়িত্ব পান জাহির খান। ২০১৭ সালে তিনটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন করুণ নায়ার।
২০১৮ সালে ফের গম্ভীরকে অধিনায়ক করে দিল্লি। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হলে অধিনায়ক হন শ্রেয়স আয়ার। তিনিই দিল্লির একমাত্র অধিনায়ক যিনি দলকে ফাইনালে তোলেন। ২০২১ সালে শ্রেয়স চোট পেয়ে ছিটকে গেলে অধিনায়ক হন ঋষভ পন্থ। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তিনিই দিল্লির অধিনায়ক রয়েছেন।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (৮ অধিনায়ক): তালিকায় তিন নম্বরে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা ২০১৩ সালে খেলা শুরু করে। অর্থাৎ মাত্র ১০ বছরে তাদের দলে আট জন অধিনায়কত্ব করেছেন। এই সময়ের মধ্যে অবশ্য এক বার ট্রফি জিতেছে তারা।
২০১৩ সালে দলের প্রথম অধিনায়ক ছিলেন কুমার সঙ্গকারা। কিন্তু সেই মরসুমের মাঝপথে দায়িত্ব যায় অস্ট্রেলিয়ার ক্যামেরন হোয়াইটের কাছে। ২০১৪ সালে অধিনায়ক করা হয় শিখর ধবনকে। কিন্তু সে বারও মাঝপথে দায়িত্ব পান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন স্যামি। ২০১৫ সালে নেতৃত্ব পান ডেভিড ওয়ার্নার। ২০১৬ সালে তিনি দলকে আইপিএল জেতান।
২০১৮ সালে ওয়ার্নার ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ থাকায় অধিনায়ক করা হয় নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসনকে। ২০১৯ সালে ছ’টি ম্যাচে ভুবনেশ্বর কুমার ও ২০২১ সালে মণীশ পাণ্ডে একটি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেন। এই মরসুমে উইলিয়ামসনই হায়দরাবাদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy