রবিবারের উপ্পল মাতিয়ে দিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে নয় উইকেটে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জয়ের পিছনে তাঁর অবদানও কিছু কম ছিল না। চার ওভারে ৩৩ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট তুলে নিয়ে খলিল আহমেদও তৈরি করে দিয়েছিলেন সেই জয়ের পথ।
রবিবার জয়ের পরে সতীর্থ ভুবনেশ্বর কুমারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২১ বছরের বাঁ হাতি পেসার বলেছেন, ‘‘পাওয়ারপ্লে-তে নতুন বলে কত দ্রুত উইকেট নিতে পারছি, সেটার উপরেই ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করে। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যান হয়তো পাল্টা আক্রমণ করতেই পারে। তবে নিজের প্রতি বিশ্বাস রেখে ঠিক লাইনে বল রাখতে পারলে সাফল্য আসবেই। সেই সহজ দর্শনে বিশ্বাস রেখেই আমি বল করেছি।’’ সঙ্গে যোগ করেছেন, ‘‘প্লে অফে জায়গা নিশ্চিত করার জন্য একন প্রত্যেকটা ম্যাচই ফাইনালের মতো হয়ে গিয়েছে। যে হেতু মাত্র চার ওভার বল করার সুযোগ থাকে, তাই আমি মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম, যে কোনও পরিস্থিতিতে আমাকে উইকেট নিতেই হবে। না হলে ব্যাটসম্যানদের উপর চাপ অনেক বেড়ে যাবে।’’
রবিবার সুনীল নারাইনকে ফিরিয়ে কেকেআর শিবিরে প্রথম আঘাত হেনেছিলেন খলিল। কিন্তু ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটারকে ফেরানোর পরে খলিলের উল্লাসের ছবিটা ছিল আরও আকর্ষণীয়। বারবার হাত ঝাঁকিয়ে তিনি চিৎকার করছিলেন। ভুবনেশ্বরের প্রশ্ন ছিল, এ ধরনের উল্লাসের কারণ কি? খলিল বলেন, ‘‘আসলে নাইটদের দুই ওপেনার বড় শট নিচ্ছিল। ওদের কিছুতেই আটকাতে না পেরে নিজের উপরেই প্রচণ্ড রাগ হচ্ছিল। নিজেকে প্রশ্ন করছিলাম, কেন ঠিক লাইনে বলটা রাখতে পারছি না। তার পরে নারাইনকে বোল্ট করে দিয়েছিলাম। মনের মধ্যে জমতে থাকা রাগটা বার করতেই আমি ও ভাবে উত্তেজিত হয়ে হাত ঝাঁকাচ্ছিলাম।’’
আজ, মঙ্গলবার ফের সামনে চেন্নাই সুপার কিংস। কি পরিকল্পনা ধোনিদের জন্য? খলিল বলেছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচে ওদের বিরুদ্ধে জিতেছি। এ বারও তাই চাই। ধোনি ভাইদের দল খুব শক্তিশালী। তাই প্রথম ওভার থেকে আগ্রাসী বোলিং করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy