২০১৬ সালে শেষবার আইপিএলে খেলেছিলেন গুজরাট লায়ন্সের হয়ে। ফাইল চিত্র।
অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। তারই মধ্যে আজ, শনিবার মোহালিতে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শিবিরে সামান্য স্বস্তি ফিরে এল।
আতহ বোলার নেথন কুল্টার নাইলের পরিবর্ত হিসেবে আরসিবিতে যোগ দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ডেল স্টেন। শুক্রবার এক বিবৃতিতে আরসিবি জানিয়েছে, ‘‘আহত কুল্টার নাইলের পরিবর্ত হিসেবে আমাদের দলে সই করেছেন স্টেন। তিনি চলতি আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলিতে খেলবেন।’’ ঘটনা হল, ২০১৬ সালে শেষবার আইপিএলে খেলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই ডান হাতি পেসার। সে বার তিনি খেলেছিলেন গুজরাট লায়ন্সের হয়ে। শেষ দু’টি আইপিএলের নিলামে অবিক্রিতই ছিলেন তিনি। দেখার, ৩৫ বছরের স্টেনের আগমনে আরসিবি শিবিরের হতাশার ছবি বদলায় কি না। যিনি ২০০৮-২০১০ সাল পর্যন্ত খেলেছিলেন কোহালির দলেই।
আজ, শনিবার মোহালিতে আর অশ্বিনদের কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে আবারও এক কঠিন পরীক্ষা দিতে চলেছেন বিরাট কোহালিরা। টানা ছয় ম্যাচে হারের ফলে প্লে অফে খেলার সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গিয়েছে আরসিবি-র। এই মুহূর্তে তাই আরসিবি-র প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে একটা জয়ের, যা অন্তত কোহালিদের টানা হারের ক্ষতে কিছুটা হলেও প্রলেপ দিতে পারে। শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলনে আরসিবি-র অন্যতম তারকা যুজবেন্দ্র চহাল বলেছেন, ‘‘যে ম্যাচগুলোতে হেরেছি, তার ফল তো আর পাল্টানো সম্ভব নয়। ফলে অতীত ভুলে গিয়ে সামনের দিকে তাকাতে হবে। আরও আটটা ম্যাচ রয়েছে এখনও। সেখানে ভাল খেলার চেষ্টা করতে হবে।’’ বরং চহাল বিশ্বাস করেন, এই অবস্থা থেকেও প্লে অফে খেলা সম্ভব। তিনি বলেছেন, ‘‘২০১৬ সালেও আমরা এমনই পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। বাকি সাত ম্যাচে ছয়টা জয় পেলেই ছবিটা পাল্টে যাবে। নিজেদের ক্ষমতার প্রতি আস্থা রেখে বাকি ম্যাচগুলোতে খেলতে হবে।’’
আহত আরসিবি শিবিরকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব শিবির। শেষ ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হারের পর সতর্ক পঞ্জাব দল। কোমরের চোট সারিয়ে ক্রিস গেল শনিবারের ম্যাচে খেলবেন কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে কে এল রাহুল জানিয়েছেন, জয়ে ফিরতে তাঁরা মরিয়া। তিনি বলেছেন, ‘‘শেষ ম্যাচে আমরা হেরেছি ঠিকই, কিন্তু দলের সামগ্রিক ইতিবাচক মানসিকতায় আমি খুশি।’’ প্রতিপক্ষ আরসিবি সম্পর্কে রাহুলের অভিমত, ‘‘ওরা এখনও পর্যন্ত একটি ম্যাচে না জিতলেও প্রতিপক্ষ হিসেবে ভয়ঙ্কর। দলে কোহালি এবং এ বি ডিভিলিয়ার্সের মতো দুই আগ্রাসী ক্রিকেটার রয়েছে। ওরা যে কোনও মূল্যে ম্যাচটা জিততে চাইবে। তাই অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। বোলারদেরও নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে।’’ সতীর্থ মায়াঙ্ক আগরওয়ালের প্রশংসা করে রাহুল বলেছেন, ‘‘ও দারুণ ছন্দে রয়েছে। মাঝের দিকে বড় রান তোলার জন্য মায়াঙ্ককে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে।’’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে রাহুল বলেছেন, ‘‘শুরুর দিকে একটু ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলাম। এখন কিন্তু ব্যাটিংটা আবার উপভোগ করছি। ধারাবাহিক ভাবে যাতে বাকি সমস্ত ম্যাচে বড় রান করতে পারি, সেটা নিয়েই চিন্তাভাবনা করছি। আমার লক্ষ্য থাকবে শনিবারও ভাল একটা ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করা।’’ যোগ করেছেন, ‘‘মুম্বইয়ের কাছে হারতে হলেও ওই সেঞ্চুরিটা দারুণ উপভোগ করেছি। মোহালিতেও এমন একটা ইনিংস খেলতে চাই।’’
আজ আইপিএলে: কিংস ইলেভেন পঞ্জাব বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (রাত ৮.০০। স্টার স্পোর্টস ওয়ান চ্যানেলে)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy