Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

‘এই দলগুলোর সঙ্গে আরও খেলুক জিতেন্দ্ররা’

আসলে এই বয়সে একক সাফল্য পাওয়ার প্রবণতা প্রবল ভাবে থাকে ছেলেদের মধ্যে। তবে আমাদের ছেলেদের একে অপরকে সাহায্য করতে দেখাটা খুবই ভাল একটা অভিজ্ঞতা।

সুনীল ছেত্রী
শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪৭
Share: Save:

অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপে ভারতীয় দলকে সমর্থন করতে গোটা দেশের মানুষ এগিয়ে এসেছে। তার মধ্যে হয়তো আমরা খেয়াল করিনি মাঠে আমাদের ছেলেরা কী রকম একতা দেখিয়েছে।

আসলে এই বয়সে একক সাফল্য পাওয়ার প্রবণতা প্রবল ভাবে থাকে ছেলেদের মধ্যে। তবে আমাদের ছেলেদের একে অপরকে সাহায্য করতে দেখাটা খুবই ভাল একটা অভিজ্ঞতা। দলের মধ্যে এই যে ব্যাপারটা রয়েছে, এটাই কাজে লাগাতে হবে। ভারতীয় দলের এটাই সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট। ফুটবলে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাপার, একে অপরের জন্য খেলা। কখন, কী করতে হবে আর কোন জায়গায় আরও উন্নতি করতে হবে, এই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার দলের মধ্যে। এই বিশ্বকাপে আমাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কলম্বিয়া, ঘানার মতো দলের বিরুদ্ধে খেলতে হয়েছে। ওদের বিরুদ্ধে যদি ঘন ঘন মাঠে নামতে পারে আমাদের ছেলেরা, তা হলে মাঠে নামার আগেই হেরে যাওয়ার সমস্যাটা ক্রমশ কেটে যাবে।

আরও পড়ুন: ‘আমার ম্যাচ দেখতে আসুন’ সচিনকে আমন্ত্রণ জিন্দেরের

ভারতীয় খেলোয়াড়দের বড় সমস্যা হল বিপক্ষের ধার ও ভারেই আগে থেকে ভয় পেয়ে যায় তারা। এই বিশ্বকাপ থেকে যেমন ছেলেরা অনেক কিছু শিখল, তেমন শিখে নিল কোচিং স্টাফও। সর্বোচ্চ স্তরে সাফল্য পেতে গেলে এই দলকে আর কী কী ভাবে তৈরি করতে হবে, তা নিশ্চয়ই বুঝে নিল তারা। যে পরিশ্রম করেছে আমাদের ছেলেরা, তাকে ঠিক পথে নিয়ে যাওয়াটা তো তাদেরই কাজ। আমাদের এই ছেলেদের নিয়মিত এ রকমই উচ্চ স্তরের ফুটবলের আসরে নিয়ে যেতে হবে। ওদের লক্ষ্যটা আরও বড় হওয়া দরকার। সদ্য ১৭ পেরোচ্ছে এই ছেলেগুলো। ওদের যত্ন নিয়ে তৈরি না করলে ওদেরই ক্ষতি হবে। তা যেন না হয়, সে দিকটা খেয়াল রাখতেই হবে। সেই যোগ্যতা থাকলে বড় জায়গায় ঝাঁপ মারাই উচিত। তবে যদি সন্দেহ থাকে, তা হলে গুরুপ্রীত সিংহকে দেখো। চার বছর আগে ও কোথায় ছিল, আর এখন কোথায় আছে। সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE