Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

নয়া অস্ত্র সুন্দরের পাওয়ার-প্লে স্পিন

নতুন বল নিয়ে বোলিং করাটা তাঁর কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ, জানাচ্ছেন সুন্দর। বুধবার ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এটা বড় চ্যালেঞ্জ ঠিকই।

সফল: নতুন বলেও সমস্যা তৈরি করছেন ওয়াশিংটন। ফাইল চিত্র

সফল: নতুন বলেও সমস্যা তৈরি করছেন ওয়াশিংটন। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৮ ০৩:২৫
Share: Save:

ভুবনেশ্বর কুমার, যশপ্রীত বুমরাদের মতো ডেথ বোলিং বিশেষজ্ঞ তো রয়েছেনই। এ বার পাওয়ার-প্লে বিশেষজ্ঞের সন্ধানও পেয়ে গেল ভারতীয় দল। ওয়াশিংটন সুন্দর। শুরুর ছ’ওভারেই যিনি ব্যাটসম্যানদের মনোবল ভেঙে চুরমার করে দিতে পারেন। ভারতীয় দলের এই নতুন তারকা স্পিনার বুধবার কলম্বোয় ছ’ওভারের মধ্যেই বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যানকে আউট করে দিয়ে তাদের চাপে ফেলে দেন।

অশ্বিনের রাজ্যের এই অফস্পিনার যে পাওয়ার-প্লে-তে ক্রমশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছেন, তা একটা পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায়। চলতি টি-টোয়েন্টি ত্রিদেশীয় সিরিজে যে ১৬ ওভার বল করেছেন সুন্দর, তার মধ্যে ১১ ওভারই তিনি করেছেন পাওয়ারপ্লে-তে। আর রান দিয়েছেন ওভার প্রতি ৫.৮৭-এর গড়ে। নিয়েছেন সাতটা উইকেটও। যাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক রোহিত শর্মাও। বুধবার ম্যাচের পরে তাঁর দলের নতুন তারকাকে নিয়ে বলেন, ‘‘শুরুতেই ওয়াশিংটনের স্পেল ম্যাজিকের মতো কাজ করছে। একজন স্পিনারের পক্ষে নতুন বল নিয়ে বোলিং করাটা সহজ না। ওকে হ্যাটস্ অফ।’’

নতুন বল নিয়ে বোলিং করাটা তাঁর কাছেও বড় চ্যালেঞ্জ, জানাচ্ছেন সুন্দর। বুধবার ম্যাচের পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘এটা বড় চ্যালেঞ্জ ঠিকই। কিন্তু এর জন্যই তো ক্রিকেট খেলা। দেশের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেলে তো এই চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হতেই হয়। আর সেই চ্যালেঞ্জগুলোতে সফল হলে তৃপ্তিও হয়।’’

দলের এই তরুণ অফস্পিনারের সাহসেও মুগ্ধ রোহিত। বলেন, ‘‘খুব সাহস ছেলেটার। ও-ই বল করতে এগিয়ে আসে। ফ্লাইট দিতে ভয় পায় না। ও কী করতে চায়, সেটা ও খুব ভাল করে জানে। এতে আমি স্বস্তিতে থাকতে পারি।’’ পাওয়ার-প্লে-তে ভাল বল করাকে অবশ্য নিজের সৌভাগ্য বলে মনে করেন বিনয়ী সুন্দর। বলেন, ‘‘আমি সৌভাগ্যবান যে এই দক্ষতাটা আমার রয়েছে। পাওয়ার-প্লে-তে যখন ব্যাটসম্যানরা প্রতি বল মেরে উড়িয়ে দিতে চায়, তখন তাদের বুঝে নিয়ে বোলিং করাটা মোটেই সোজা নয়।’’ নিজে ব্যাটসম্যান বলে এই পরিস্থিতিতে সুবিধা পান বলে জানান সুন্দর। বলেন, ‘‘নিজেকে ব্যাটসম্যানের জায়গায় নিয়ে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করি সে আমাকে কোথা মারতে পারে, কোন জায়গায় বল ফেলে তাকে আটকানো যাবে।’’

পাওয়ার-প্লে-তে বোলিং করার অভ্যাসটা অবশ্য তাঁর স্থানীয় ক্রিকেট থেকেই আছে। নিজেই বলেন, ‘‘ঘরের মাঠে প্রচুর লিগ গেম খেলেছি আমি, যেখানে শুরুতে দু’ওভার ও শেষে দু’ওভার করতাম। সেই অভিজ্ঞতাটাই এখানে কাজে লাগছে।’’ তরুণ স্পিনার এও মনে করেন যে, অফস্পিনাররা সব ফর্ম্যাটেই দলের কাজে লাগে। ‘‘রিস্ট-স্পিন আর অফস্পিন দু’টোই খুব কার্যকরী বোলিং। উইকেট বুঝে দক্ষতা অনুযায়ী বোলিং করলে উন্নতি ও সাফল্য পাওয়া যাবেই বলে আমার বিশ্বাস।’’ এই বিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।

অন্য বিষয়গুলি:

Washington Sundar Indian Bowler Cricket Cricketer
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE