বিশ্ব তিরন্দাজিতে দেশকে লজ্জায় ফেললেন ভারতের পুরুষ কম্পাউন্ড আর্চারি টিম। দক্ষিণ কোরিয়ার কুয়াংজুতে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি গেমসে ব্রোঞ্জ পদকের প্লে অফের ম্যাচে মাঠেই পৌঁছতে পারল না টিম।
অভিযোগ, তিন তিরন্দাজ গুরবিন্দর সিংহ, কনওয়ালপ্রীত সিংহ ও আমন-সহ গোটা তিরন্দাজি দল শহর ভ্রমণে বেরিয়েছিল। প্রধান কোচ জীবনজ্যোত সিংহ ও বিদেশি কোচ লিম চু ওয়াংও দলের সঙ্গে ঘুরতে চলে যান। ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ের কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে। তাতেই বিপত্তি। ভারতীয় দল উপস্থিত না থাকায় তাই নিয়ম অনুযায়ী ইতালির হাতে ব্রো়ঞ্জ পদক তুলে দেন সংগঠকরা।
ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে ভারতীয় দলকে সকাল ১০টায় মাঠে থাকার জন্য তিন দিন আগে জানিয়ে দেওয়ার পরও ভারতীয় তিরন্দাজরা মাঠে উপস্থিত ছিলেন না কেন? সংগঠকরা বেশ কয়েকবার ভারতীয় দলের নাম ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। সাধারনত ইভেন্ট শুরু হওয়ার দেড় থেকে ২ ঘণ্টা আগে মাঠে দুই দলেরই পৌঁছনোর কথা। শহর ঘুরে শেষমেষ ভারতীয় দল যখন মাঠে পৌঁছায়, ততক্ষণে ইতালি দলকে ব্রোঞ্জ পদক দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জতীয় তিরন্দাজি সংস্থার (এএআই) কর্তারা ভারতীয় দলের দুই কোচ ও ম্যনেজারের উপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। তিরন্দাজি কর্তাদের একাংশের মতে, সম্ভবত সময় বদলানোর জন্য তিন চার দিন আগে করা ম্যনেজারদের মিটিংয়ে ভারতীয় দলের ম্যনেজার উপস্থিত হননি বলেই এই বিপত্তি।
ভারতের কোচ জীবনজোৎ সিংহ আবার ঘটনার জন্য তিরন্দাজির সরঞ্জাম খারাপ হয়ে যাওয়াকে দায়ী করেছেন। ‘‘গুরবিন্দরের বো-এর তার ছিঁড়ে গিয়েছিল। দলের অন্য কারও কাছেই অতিরিক্ত বো ছিল না। তাই এক জনকে হোটেলে পাঠানো হয়েছিল মেয়েদের দলের কাছ থেকে বো ধার করে আনতে।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘রিপোর্টিং টাইমের দু’মিনিট পরেই আমরা মাঠে পৌঁছই। কিন্তু সংগঠকরা আমাদের কথা শুনতে চাননি।’’
এএআই সেক্রেটারি জেনারেল অনিল কামিনেনি বলেছেন, তাঁরা ঘটনার কারণ খুঁজতে টিম ও আয়োজকদের চিঠি লিখেছেন। ‘‘যেহেতু অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটির তরফে টিম পাঠানো হয়েছিল, তাই এ নিয়ে আমাদের মাথা ঘামানোর কথা নয়। কিন্তু এই দলে অনেক জাতীয় স্তরের তিরন্দাজ ছিল। তাই আমরা তদন্তের নির্দেশ দিচ্ছি।’’ তবে তিনি দলের শহর ভ্রমণে যাওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। ‘‘সকাল দশটায় ওরা শহর ঘুরতে যেতে পারে না। তার উপর দলে অনেক সিনিয়র তিরন্দাজও ছিল। তাঁদের দায়িত্বজ্ঞান আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy