Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

‘নেহরার জন্য জয় চাই আজ’

কানপুরের এ বারের পিচটা দারুণ ছিল। অতীতের সেই লো, স্লো পিচ নয়। ব্যাটসম্যানরা ভালমতো স্ট্রোক খেলতে পারল ওখানে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৪৫
Share: Save:

কানপুরে একটা দুর্দান্ত ম্যাচ জিতল ভারত। গ্রিনপার্কের দর্শকরাও একটা দারুণ উত্তেজক খেলা দেখতে পেল। ভারত ৩৩৭ রান চাপিয়ে দিলেও নিউজিল্যান্ড কিন্তু কখনও লড়াই থেকে ছিটকে যায়নি। শেষ পর্যন্ত লড়েছে। আর এই লড়াই ম্যাচটাকে আকর্ষক করে তুলল। শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং এবং বোলিং— ভারত দু’টো বিভাগেই সফল হওয়ায় ম্যাচটা জিতে গেল বিরাট কোহালিরা।

কানপুরের এ বারের পিচটা দারুণ ছিল। অতীতের সেই লো, স্লো পিচ নয়। ব্যাটসম্যানরা ভালমতো স্ট্রোক খেলতে পারল ওখানে। কানপুর ওয়ান ডে-তে ওর অসাধারণ ফর্মটা ধরে রাখল রোহিত শর্মা। আমার মনে হচ্ছে, এ বার টেস্টেও রোহিতের মধ্যে বদল দেখতে পাব।

আরও পড়ুন: সহবাগকে সম্মান দিতে গিয়ে ঐতিহাসিক ভুল

বিরাট আর রোহিত মিলে এমন একটা পার্টনারশিপ গড়ল, যেটা শুধু গ্রিনপার্কের দর্শকদেরই আনন্দ দেয়নি, ভারতীয় বোলারদেরও লড়াই করার মতো ভাল মঞ্চ দিল। তাই শিশিরের সমস্যা সত্ত্বেও ভারতীয় বোলাররা ম্যাচ থেকে হারিয়ে যায়নি। প্রথমে ব্যাট করতে হয়েছিল বলে বিরাটদের একটা বড় রান তুলে রাখার চ্যালেঞ্জ ছিল। যাতে শিশিরের জন্য বোলাররা সমস্যায় পড়লেও লড়াই চালিয়ে যেতে পারে। তাই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করাটা একটু সহজ হয়ে গেলেও বিশাল রানের লক্ষ্য থাকায়, নিউজিল্যান্ড বরাবরই চাপে ছিল। আর সেটাই চূড়ান্ত পার্থক্য গড়ে দিল দু’টো দলের মধ্যে। সে জন্যই ভারতের জয়টা আরও বড় তৃপ্তির। ভারত যদি নিউজিল্যান্ডের জায়গায় থাকত, তা হলে বিরাটরা কিন্তু ম্যাচ হারত না। তাই যশপ্রীত বুমরা এবং ভুবনেশ্বর কুমারকে আলাদা করে কৃতিত্ব দিতেই হবে। খারাপ শুরুর পরে দারুণ ভাবে ফিরে এল ওরা।

এ বার নজর ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম ফর্ম্যাটে। অর্থাৎ টি-টোয়েন্টি। আজ, বুধবার দিল্লিতে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটা আশিস নেহরার জন্য বিদায়ী ম্যাচ হতে চলেছে। এত চোট-আঘাত নিয়েও যে নেহরা এত দিন ধরে ক্রিকেট খেলে চলেছে, এতেই বোঝা যায় খেলাটাকে ও কত ভালবাসে। লড়াকু মানসিকতা, দৃঢ়তা, ইস্পাত কঠিন মন— যা আপনি চাইবেন, নেহরার কাছে পেয়ে যাবেন।

অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও লড়াই করে টিকে থাকার ক্ষমতা ছিল ওর। আর একটা কথা বলব। নেহরার মতো টিম ম্যান আর হয় না। এই কথাটা আমি জোর দিয়ে বলছি। যখনই অধিনায়কের প্রয়োজন হয়েছে, তখনই নিজের সেরাটা দিয়ে বল করেছে।

যে কোনও ধরনের ফর্ম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল নেহরার। আর ছিল সফল হওয়ার উদগ্র বাসনা। তাই দীর্ঘদিন বাইরে থাকার পরেও ফিরে আসতে পেরেছে ও। আমি শুধু চাই, ভারতীয় দল দিল্লিতে ম্যাচটা জিতে নেহরার বিদায়কে স্মরণীয় করে রাখুক। কোটলায় ম্যাচটায় বেশ লড়াই হবে বলেই মনে হয়। আর সেই সঙ্গে শিশির আবার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

আমার মনে হয়, নিউজিল্যান্ড কিন্তু টি-টোয়েন্টিতেও ভারতকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেবে। আগের বার ভারত সফরে যা দেখেছিলাম, তার চেয়েও এই নিউজিল্যান্ড দলটা অনেক উন্নতি করেছে। ওয়ান ডে সিরিজে দেখলাম, ওদের তিন সিনিয়র ব্যাটসম্যানের সে রকম বড় অবদান ছাড়াও ওরা লড়ে গেল। নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারকে তাই কৃতিত্ব দিতেই হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE