পরীক্ষা: ফাইনালে ভুল শুধরে নিতে চান উদান্ত। —ফাইল চিত্র।
আন্তঃমহাদেশীয় কাপের ফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ কিনিয়া। মুম্বইয়ের আন্ধেরি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে শুক্রবার চিনা তাইপেকে ৪-০ হারিয়েছে কেনিয়া।
এর আগে স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের দলের বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচে হেরেছিল আফ্রিকার দলটি। ফলে ফাইনালে কেনিয়াকে পেয়ে সুবিধা পাবে সুনীল ছেত্রী, জেজে লালপেখলুয়ারা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে এই মুহূর্তে ভারত রয়েছে ৯৭ নম্বরে। সেখানে কেনিয়া পনেরো ধাপ পিছিয়ে ১১২ নম্বরে।
চিনা তাইপের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে কোনও গোল পায়নি কেনিয়া। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে প্রবল ভাবে ম্যাচে ফেরে তারা। কেনিয়ার হয়ে এ দিন জোড়া গোল করলেন জকিন্স আতুদো। বাকি গোলদাতা ওডিয়াম্বো ডেনিস, টিমোথি ওটিনো।
এ দিকে, ফাইনালের আগে স্টিভন সুনীল ছেত্রীদের ভারতীয় দলে সংহতি তুঙ্গে। ভাইচুং ভুটিয়া যখন টানা ভারতীয় ফুটবল দলে অধিনায়ক ছিলেন তখন তাঁকে আদর্শ হিসাবে দেখতেন রেনেডি সিংহ, মহেশ গাউলিরা। সুনীল ছেত্রীর ক্ষেত্রেও একই রকম ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। ১০১ ম্যাচ খেলে ৬১টি গোল করে ফেলা সুনীলও সতীর্থ জুনিয়র ফুটবলারদের কাছে এখন অনুপ্রেরণা। আদর্শ ফুটবলার। বৃহস্পতিবার রাতে নিউজিল্যান্ডের কাছে আন্তঃমহাদেশীয় টুর্নামেন্টে হেরে যাওয়ার পরও জেজে লালপেখলুয়া বলে দিয়েছিলেন, ‘‘সুনীল আমার আইডল। ওকে দেখে প্রতিদিন শিখি। নিজের উন্নতি করি।’’ শুক্রবার একই কথা শোনা গেল স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের দলের আর এক ফুটবলার উদান্ত সিংহের গলায়। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উদান্ত বলে দিলেন, ‘‘সুনীল ছেত্রীই আমার আদর্শ। ওর সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করি বলে নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি।’’ শুধু জাতীয় দলেই নয়, ক্লাব দল বেঙ্গালুরু এফ সিতেও সুনীলের পাশে খেলেন উদান্ত। ‘‘দিনের শেষে সিনিয়র ফুটবলারদের কাছ থেকে তো শিখিই। সুনীলের কাছে সেই শিক্ষা যেন আরও বেশি করে পাই।’’
রবিবার টুনার্মেন্টের ফাইনাল বলে দলে প্রচুর পরিবর্তন করেছিলেন জাতীয় কোচ। নিয়মিতদের বিশ্রাম দিয়ে, রিজার্ভ বেঞ্চের সাত ফুটবলারকে মাঠে নামিয়েছিলেন স্টিভন। দলের একাত্মতা বাড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত। উদান্ত বলে দিয়েছেন, ‘‘নিউজিল্যান্ডের কাছে হারার পর আমরা যে ভুল করেছি সেটা শুধরে নেব। রবিবারের ফাইনালে অন্য খেলা দেখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। ট্রফিটা জিততে হবে।’’ পাশাপাশি প্রচন্ড গতিতে উইং দিয়ে বারবার উঠে এসে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা দেওয়ার কৌশল ইতিমধ্যেই রপ্ত করে ফেলেছেন উদান্তা। বলে দিলেন, ‘‘হেরে যাওয়ার পরও যেভাবে সমর্থকরা আমাদের পাশে দাঁড়িছেন সেটা বিরাট ব্যাপার। আমাদের দলের যা শক্তি তাতে আশা করি ফাইনালে ওরা হতাশ হবেন না।’’
চিনা তাইপের বিরুদ্ধে একটি গোল করেছিলেন উদান্ত। সেই গোলটা যখন গোলে ঢুকছে তখন তাঁর অন্যরকম অনুভূতি হচ্ছিল স্বীকার করে নিয়েছেন দেশের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলার। ‘‘ওটা আমার ফুটবলার জীবনের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy