Advertisement
০৬ নভেম্বর ২০২৪

ব্যাটিংয়ের উপর আস্থা বাঙ্গারের

সম্প্রতি ভারতের মাঝের অংশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স যে মোটেই খারাপ হয়নি, তা মনে করিয়ে দিয়ে ব্যাটিং কোচ আরও বলছেন, ‘‘মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সম্প্রতি অনেক ক্ষেত্রেই দলকে জিতিয়েছে।’’

ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার।—ফাইল চিত্র।

ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন 
শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৫:২২
Share: Save:

হ্যামিল্টনের বিপর্যয়ের পরে রোহিত শর্মা বলেছিলেন, ‘‘সাম্প্রতিক কালে এত খারাপ ব্যাটিং করিনি আমরা।’’ তবে এই একটা হারেই শিবিরে আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়নি বলে শনিবার জানিয়ে দিলেন ব্যাটিং কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলছেন, ‘‘এক-আধটা দিনই হয়তো এ রকম হয়। সাম্প্রতিক কালে এ রকম দিন খুব কমই গিয়েছে আমাদের ব্যাটিং বিভাগের। তাই একটা ম্যাচের জন্য আমরা ব্যাটিংয়ের উপর আস্থা হারাতে রাজি নই।’’

সম্প্রতি ভারতের মাঝের অংশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স যে মোটেই খারাপ হয়নি, তা মনে করিয়ে দিয়ে ব্যাটিং কোচ আরও বলছেন, ‘‘মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সম্প্রতি অনেক ক্ষেত্রেই দলকে জিতিয়েছে।’’ হ্যামিল্টনে রোহিত শর্মা ও শিখর ধওয়ন শুরুতেই ফিরে যাওয়ার পরে অম্বাতি রায়ডু, কেদার যাদব, দীনেশ কার্তিকরা সেই ধাক্কা সামলাতে পারেননি। সেই কারণেই আরও প্রশ্ন ওঠে কোহালি বা ধোনি না থাকলে কি বাকিরা প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত নন?

বাঙ্গার কিন্তু একাধিক ম্যাচের উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এই ধারণাটা ঠিক নয়। ২০১৭-তে কটকে ভারত-ইংল্যান্ড, ইনদওরে ২০১৫-তে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ও গত মাসে মেলবোর্নে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘শুরুর দিককার ব্যাটসম্যানরা ভাল ব্যাটিং করলে মাঝের ব্যাটসম্যানরা খেলার সুযোগ বেশি পায় না। কিন্তু এই সিরিজে শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা কেউ একশো রান পায়নি বলে মাঝের দিকের ব্যাটসম্যানরা পরিস্থিতি সামলানোর অনেক সময় পেয়েছে। যখনই সুযোগ পেয়েছে, তখনই ওরা ম্যাচ শেষ করে ফিরেছে।’’ গত ম্যাচে বিপর্যয় থেকে ভারতীয় শিবির যে শিক্ষা নিয়েছে, তা নিয়ে বাঙ্গার বলেন, ‘‘সে দিন যে আমরা নিজেদের স্বাভাবিক দক্ষতা অনুযায়ী খেলতে পারিনি, তা সবাই বুঝতে পেরেছি। ওই ম্যাচটা এখন অতীত। আমরা নতুন ম্যাচে নামছি রবিবার।’’ দলের নিয়মিত ও নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত হলে বাস্তবটা কী দাঁড়াতে পারে, সেটাই এই ধরনের ম্যাচগুলিতে বোঝা যাচ্ছে বলে মনে করেন বাঙ্গার। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ অনেক লম্বা এক প্রতিযোগিতা। অনেক দিন ধরে চলবে। চোট-আঘাত হবেই। সব ম্যাচে সবাইকে না-ও পাওয়া যেতে পারে। প্রথম দলের ক্রিকেটারদের চোট হলে তাদের অনুপস্থিতিতে কী ভাবে পরিস্থিতি সামলানো যায়, এই ধরনের ম্যাচে সেটাই বোঝা যায়।’’

রায়ডু, কার্তিকদের প্রশংসা করে বাঙ্গার বলেন, ‘‘ওরা যথেষ্ট ভাল ব্যাটসম্যান। এখানে তৃতীয় ম্যাচে ৮২ রানের পার্টনারশিপ গড়েছিল।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE