নায়ক: ২৮ রানে তিন উইকেট নিেলন ক্রুণাল। গেটি ইমেজেস
ওয়েলিংটনে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং শুরু হয়ে গিয়েছিল ভক্তদের। তাঁদের বক্তব্য ছিল, মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলার কারণে ক্রুণাল পাণ্ড্যের প্রতি একটু বেশিই দুর্বলতা রয়েছে রোহিত শর্মার।
কিন্তু তিনি বাকিদের চেয়ে একটু অন্য ধরনের। মাঠের বাইরে যেমন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে থাকা প্রাক্তন ক্রিকেটার জেকব মার্টিনের চিকিৎসার জন্য ‘ব্ল্যাঙ্ক চেক’ তুলে দিতে পারেন তাঁর পরিবারের হাতে, তেমনই বাইশ গজে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতেও সিদ্ধহস্ত।
শুক্রবার অকল্যান্ড দেখল সেই ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিদ্রুপকারীদের জন্য সেরা জবাব পাঠিয়ে দিলেন বঢোদরার ২৭ বছরের অলরাউন্ডার। ৪-০-২৮-৩। শিকার নিউজ়িল্যান্ডের তিন বিপজ্জনক তারকা কলিন মুনরো, কেন উইলিয়ামসন এবং ডারিল মিচেল। চলতি টি-টোয়েন্টি সিরিজে ভারতকে সমতায় ফেরাতে বাঁ হাতি স্পিনারই নিলেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। যিনি শুক্রবারের দুর্দান্ত জয়ের পর টুইট করেছেন, ‘‘এ বার আমাদের লক্ষ্য হ্যামিল্টন।’’ ভাই হার্দিক পাণ্ড্য দাদার সঙ্গে ছবি পোস্ট করে টুইট করেছেন, ‘‘বিগ ব্রাদারের জন্য আমি আবার গর্বিত।’’
প্রথম ম্যাচের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচের পার্থক্য কোথায়? অকল্যান্ডের নায়ক ক্রুণাল বলেছেন, ‘‘ওয়েলিংটনের চেয়ে এই মাঠটা কিছুটা অন্য ধরনের। সোজা বাউন্ডারিটা অনেকটা ছোট। ফলে আমাকেও বোলিংয়ের কৌশল পাল্টাতে হয়েছিল।’’ কী পরিবর্তন? ক্রুণাল বলছেন, ‘‘লেংথে নিয়ন্ত্রণ আনতে হয়েছিল। তা ছাড়া অধিনায়ক রোহিত শর্মা ম্যাচ শুরুর আগেই ছোট বাউন্ডারি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিল। সেটা মাথায় রেখে আমি বল করেছি। ভাল লাগছে, দলের জয়ে একটা বড় ভূমিকা নিতে পেরে।’’ আগামী রবিবার হ্যামিল্টনের শেষ দ্বৈরথ নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু করে দিয়েছেন ক্রুণাল। বলেছেন, ‘‘উইকেটের চরিত্র কেমন, তা বুঝে নিয়ে কত দ্রুত নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছি, তার উপরেই সাফল্য নির্ভর করে। আমার মনে হয়, এই উইকেটের সঙ্গে নিজেকে ভালই মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম।’’ যোগ করেছেন, ‘‘তবে লড়াই এখানে শেষ হচ্ছে না। আরও একটা ম্যাচ বাকি রয়েছে। সেই ম্যাচেও এই ছন্দ ধরে রাখতে হবে।’’
তবে শুধু ক্রুণালই নন। শুক্রবার আরও এক নতুন তারকা খলিল আহমেদও যেন ফিরে পেলেন নিজেকে। ওয়েলিংটনে যাঁর নির্বিষ বোলিং দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন ভক্তরা। বাঁ হাতি পেসারের ঝুলিতে রয়েছে মিচেল স্যান্টনার এবং টিম সাউদির উইকেট। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে এক জন প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘আপনারা কি বিরাট কোহালিকে মিস করছেন?’’ হেসে খলিলের জবাব, ‘‘এ নিয়ে কোনও প্রশ্ন করবেন না। অন্য কিছু জিজ্ঞাস্য থাকলে বলুন।’’
নিউজ়িল্যান্ডের প্রবল হাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বল করাটা যে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ, তা মেনে নিয়েছেন রাজস্থানের টঙ্ক থেকে উঠে আসা বাঁ হাতি পেসার। বলেছেন, ‘‘এখানে হাওয়ার গতি এতটাই বেশি যে, তার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে বল করাটা আমার কাছে একটা বড় পরীক্ষার মতো। তবে এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে অনেক কাজে দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy