লক্ষ্য: ৩৪ রান করলে গাপ্টিলের নজির ছোঁবেন রোহিত। ফাইল চিত্র
চলতি মরসুমে বিদেশে দুরন্ত ছন্দে থাকা ভারতীয় দলের বিজয়রথ কি নিউজ়িল্যান্ডের মাটিতে এসে থমকে দাঁড়াবে? অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ড্র, টেস্ট এবং ওয়ান ডে সিরিজ জয়। এর পরে নিউজ়িল্যান্ডে এসে সহজেই আবার ওয়ান ডে সিরিজ ৪-১ জিতে নেওয়া। কিন্তু আজ, শুক্রবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ রক্ষার লড়াইয়ে নামতে হচ্ছে রোহিত শর্মার ভারতকে। তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথমটায় হেরে রোহিতরা পিছিয়ে ০-১।
আজ, শুক্রবার ইডেন পার্কে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে কয়েকটা প্রশ্নের জবাব খুঁজতে হবে ভারতকে। যেমন ব্যাটিং শক্তি একটু কমিয়ে কুলদীপ যাদবের মতো বোলারকে খেলানো যায় কি না। সদ্য সমাপ্ত ওয়ান ডে সিরিজে চায়নাম্যান কুলদীপের স্পিন বুঝতে সমস্যায় পড়েছিলেন নিউজ়িল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। প্রাক্তন অধিনায়ক অনিল কুম্বলে মনে করেন, ভারতের উচিত সেরা বোলারদের নামিয়ে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘যুজবেন্দ্র চহাল আর কুলদীপকে দিয়ে নিউজ়িল্যান্ড ব্যাটসম্যানদের আক্রমণ করা উচিত।’’ সঞ্জয় মঞ্জরেকর যেমন টুইট করেছেন, ‘‘যে কোনও ফর্ম্যাটেই চ্যাম্পিয়ন দল হতে গেলে বিশেষজ্ঞ ক্রিকেটার থাকা দরকার। যশপ্রীত বুমরা আর কুলদীপ যাদবের অভাবটা ভারত টের পাচ্ছে।’’ বুমরা দলে না থাকলেও কুলদীপ আছেন। এখন তাঁকে খেলানো হবে কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরে ফিরে আসছে। এই ম্যাচ অধিনায়ক রোহিতের কাছেও স্মরণীয় হয়ে থাকতে পারে। তিনি আর ৩৪ রান করলেই মার্টিন গাপ্টিলকে ছোঁবেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ স্কোরার হিসেবে।
ওয়েলিংটনে আট ব্যাটসম্যান খেলিয়েও রান তাড়া করতে ব্যর্থ হয়েছিল ভারত। বরং বুমরা-মহম্মদ শামিহীন পেস বোলিংকে বেশ দুর্বলই দেখিয়েছে। বিশ্বকাপের দৌড়ে থাকা খলিল আহমেদ খুব একটা দাগ কাটতে পারেননি। তাঁর জায়গায় মহম্মদ সিরাজ বা সিদ্ধার্থ কলকে খেলানো হলেও হতে পারে। আগের ম্যাচে প্রথম স্পেলে দু’ওভারে মাত্র দু’রান দিয়ে ভারতের রান তোলার গতি আটকে দিয়েছিলেন নিউজ়িল্যান্ডের টিম সাউদি। তুলে নিয়েছিলেন রোহিত শর্মাকেও। ওয়ান ডে সিরিজের শেষ দিকে সাউদিকে বাদ দিয়েছিল নিউজ়িল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফিরে এসেও সফল হয়েছেন তিনি। এটা কি এক ধরনের জবাব দেওয়া হল? যে প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার সাউদি বলেন, ‘‘একেবারেই না। আমি মনে করি, যখনই সুযোগ পাওয়া যাবে, তখনই মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দিতে হবে। নেটে আমি ভালই বল করছিলাম। দরকার ছিল, সেই ছন্দটা ম্যাচে ধরে রাখা। যেটা আমি করতে পেরেছি।’’
অকল্যান্ডে ইডেন পার্কে ভারত-নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচ দেখতে মাঠ পুরো ভর্তি হয়ে যাবে। সাউদি স্বীকার করছেন, এ রকম ভরা মাঠ সাধারণত তাঁদের ম্যাচে হয় না। নিউজ়িল্যান্ডের এই পেসার বলেছেন, ‘‘চার বছর আগে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সময় মাঠ পুরো ভরে গিয়েছিল। তার পরে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে, এমন ঘটনা ঘটেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy