প্রত্যাবর্তন: দু’উইকেট। দুরন্ত ক্যাচ। ফিরেই সফল হার্দিক। গেটি ইমেজেস
মাঠে ফিরেই সকলকে চমকে দিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। জেটল্যাগের তোয়াক্কা না করে তাঁকে সোমবারেই মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারতীয় দল। বডোদরার অলরাউন্ডার প্রমাণ করে দিলেন, বিরাট কোহালিদের সেই সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না।
তৃতীয় এক দিনের ম্যাচ হেলায় জিতে সিরিজ ছিনিয়ে নেওয়ার দিনে শিরোনামে হার্দিকের নেওয়া অবিশ্বাস্য ক্যাচ! ১৭তম ওভারে নিউজ়িল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেয় সেই ক্যাচ। লেগস্পিনার যুজবেন্দ্র চহাল ওই বলটি ফ্লাইট করিয়েছিলেন। রানের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে ছিলেন উইলিয়ামসন। এগিয়ে এসে মিডউইকেটের উপর দিয়ে শট খেলতে যান। কিন্তু শর্ট মিডউইকেটে দাঁড়িয়ে থাকা হার্দিক ক্ষিপ্রতার সঙ্গে পাখির মতো উড়ে গিয়ে শূন্যে ভেসে উঠে দু’হাতে ক্যাচ লুফে নেন। উইলিয়ামসনও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে, তিনি আউট! বোলার চহালের মুখেও একই রকম বিস্ময়। দৌড়ে এসে অভিনন্দন জানান অধিনায়ক কোহালি।
ক’দিন আগে কর্ণ জোহরের টিভি অনুষ্ঠানে আপত্তিজনক মন্তব্য করায় সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন হার্দিক। এ দিন সেখানেই ধন্য ধন্য হতে থাকেন। কেউ কেউ লেখেন, ‘‘অনেক কথা বলা হয়েছে ওকে নিয়ে। শাস্তিও পেয়েছে। মাঠের বাইরে বসেছে। এ বার ভুলে যাও, এগিয়ে চলো। ও যেটা সব চেয়ে ভাল পারে, সেটা করতে দেওয়া হোক।’’ ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিল্ডার মহম্মদ কাইফ উচ্ছ্বসিত হয়ে টুইট করেন, ‘‘ওটা ফিল্ডারের উইকেট।’’
উইলিয়ামসন নিঃসন্দেহে নিউজ়িল্যান্ডের সব চেয়ে দামী উইকেট। বিস্ময় ক্যাচে হার্দিক তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ায় এ দিন অনেকটাই কাজ সহজ হয়ে যায় ভারতীয় দলের পক্ষে। ৪৮ বলে ২৮ করে ফিরে যান উইলিয়ামসন। নিউজ়িল্যান্ডের স্কোর তখন ৫৯-৩ হয়ে যায় এবং তার পর আর খুব বড় স্কোরে তারা পৌঁছতে পারেনি। শুধু দুরন্ত ক্যাচ নেওয়াই নয়, তার আগে বল হাতেও উইলিয়ামসনকে সমস্যায় রেখেছিলেন হার্দিক। বেশ কয়েকটি ‘ডট বল’ (যে বলে রান হয় না) খেলতে বাধ্য করেন তাঁকে। সব মিলিয়ে দশ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি।
অধিনায়ক কোহালিও বলে যান, বিতর্ক থেকে শিক্ষা নিয়ে হার্দিক আরও ভাল ক্রিকেটার এবং ভাল মানুষ হয়ে ফিরবেন। ‘‘এ রকম পরিস্থিতিতে দু’টো জিনিস হতে পারে। হয় তুমি অন্ধকারে ডুবে যেতে পারো, অথবা শিক্ষা নিয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবে। হার্দিক সেটাই করবে।’’ যোগ করেন, ‘‘অতীতে অনেক ক্রিকেটার বিতর্ক থেকে শিক্ষা নিয়ে সফল হয়ে ফিরেছে। এক জন ক্রিকেটারের কাছে ক্রিকেটের চেয়ে প্রিয় কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy