ভারতের দুই গোলদাতা সুনীল ও জেজে।
কম্বোডিয়া ২ (লাবোরাভি, ভাথানাকা)
ভারত ৩ (সুনীল, জেজে, সন্দেশ)
এমনিতে ছিল অনুশীলন ম্যাচ। কিন্তু মাঠে নেমে দু’দলের মেজাজই ছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের। যার ফল যখন ম্যাচ শেষ হল তখন মোট গোল পাঁচ। ভারত জিতল ৩-২ গোলে। শুরুটা করে দিয়েছিলেন ভারতের সেরা স্ট্রাইকার সুনীল ছেত্রীই। ৩৬ মিনিটে ইউজিনসন লিংদোর কর্নার থেকে ফাঁকায় গোল করে যান সুনীল। কম্বোডিয়ার গোলকিপার সেরেই গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বল ধরতে কিন্তু তিনি তা মিস করেন। যার ফলে সুনীলের গোল সহজ হয়ে যায় অনেক। কিন্তু ভারতের এগিয়ে যাওয়ার উৎসব শুরু হতে না হতেই এক মিনিটের মধ্যে হোম টিমকে সমতায় ফেরান লাবোরাভি খৌন। রক্ষণের ভুল বোঝাবুঝিতে ১-১ করে ফেলে কম্বোডিয়া। কিন্তু শেষটা থেকে যায় ভারতেরই দখলে। প্রথমার্ধের শেষে প্রায় নিজের গোলেই বল পাঠিয়ে দিয়েছিলেন ভারতের রাইটব্যাক প্রীতম কোটাল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে রক্ষা করেন গোলকিপার গুরপ্রীত সিংহ। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ গোলে।
আরও খবর: জীবনের রক্ষণ সামলে ফিরলেন রিও ফার্দিনান্দ, কেমন ছিল সেই সময়?
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জেজে লালপেখলুয়ার গোলে আবার খেলায় ফেরে ভারত। তার আগে সুনীলের গোলমুখি শট বাঁচিয়ে দেন গোলকিপার। ৫০ মিনিটে জেজের গোলের দু’মিনিটের মধ্যেই সুযোগ এসে গিয়েছিল রবিন সিংহর সামনে। তিনিও গোলকিপারের হাতে তুলে দেন। ৫৪ মিনিটে ৩-১ করেন সন্দেশ ঝিঙ্গান। আবারও সেই লিংদোর কর্নার থেকে ঝিঙ্গানের হেড। ৬২ মিনিটে কম্বোডিয়ার হয়ে ব্যবধান কমান ভাথানাকা চান। এর পর কাউকেই গোলের জন্য ঝাপাতে দেখা যায়নি। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে কম্বোডিয়ার থেকে ৪১ ধাপ এগিয়ে রয়েছে ভারত। তার উপর পুরো দলটাই প্রায় অনূর্ধ্ব-২৩। সেই অবস্থায় আরও ভাল ফুটবল আশা করেছিলেন কনস্টানটইন। কিন্তু জয় তো জয়ই। এএফসির যোগ্যতা নির্ণায়ক পর্বের আগে এই জয় আত্মবিশ্বাস জাগাবে ভারতীয় ফুটবল দলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy