দেশের মাঠে তিনি ম্যাচ উইনার। কিন্তু বিদেশে তাঁর ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক দিন ধরেই। তবে রবিচন্দ্রন অশ্বিন আত্মবিশ্বাসী, বিদেশেও এ বার ধারাবাহিক ভাবে উইকেট নেওয়া শুরু করবেন তিনি।
একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অশ্বিন বলেছেন, ‘‘আমার মনে হয়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি অনেক পরিণত হচ্ছি। অস্ট্রেলিয়ায় আমি বেশ ভাল বল করেছি। উইকেট নেওয়ারও অনেক সুযোগ তৈরি করেছি। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দিনে ৩০ ওভার বল করা কিন্তু খুব একটা সহজ কাজ নয়।’’
উপমহাদেশের মাটিতে অশ্বিনের পারফরম্যান্স ভারতকে টেস্ট জিতিয়েছে। ১৬ টেস্টে উঠে এসেছে ১০০ উইকেট, ২৩.৮৭ গড়ে। কিন্তু উপমহাদেশের বাইরে গেলেই পারফরম্যান্সের রেখচিত্র পড়তে শুরু করেছে অশ্বিনের। নয় টেস্টে এসেছে ২৪ উইকেট, ৫৬.৫৮ গড়ে।
অশ্বিন জানাচ্ছেন, বিদেশেও এখন থেকে বড় ভূমিকা নিতে চান তিনি। ‘‘আমি যদি ভারতে টেস্ট খেলি, তা হলে হয়তো এখনই পাঁচ উইকেট তুলে নেব। কিন্তু ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্যাপারটা ঘটতে তৃতীয় বা চতুর্থ টেস্ট লেগে যেতে পারে। বিদেশে সবাই যদি নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করতে পারে, তা হলে স্পিনারদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। তবে এটা বলার পাশাপাশি এও বলব, বিদেশে আমি আরও বেশি দায়িত্ব নিতে চাই। অতীতের বড় বড় ক্রিকেটাররা যা করে গিয়েছেন, সেই কাজটা করতে চাই। ভারতকে আরও বেশি ম্যাচ জেতাতে চাই।’’
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে তিনি টেস্ট খেলেছেন। এখন খেলছেন বিরাট কোহলির নেতৃত্বে। দুই অধিনায়ক সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন কী? অশ্বিনের জবাব, ‘‘যে দলেই আমি খেলি না কেন, সব সময় সেরাটা দিতে চাই। চাই দলের সেরা পারফর্মার হতে। বিরাট আর আমার মধ্যে একটা মিল আছে। বিরাটও ঠিক এই কাজটা করতে চায়। বিরাট খুব আগ্রাসী। সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। বিরাট ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতের হয়ে যে কাজটা করে, আমি বোলার হিসেবে সেটা করতে চাই।’’ দু’জনের মধ্যে আরও একটা মিল আছে। সেটা কী, জানাচ্ছেন অশ্বিন। ‘‘দু’জনেই আমরা সব সময় উন্নতি করে যেতে চাই। নিজেদের সাফল্যের উপর বসে থাকতে চাই না।’’
তা হলে কি এক দিন আপনি বিরাট কোহলির মতো ভারতের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন? ‘‘কয়েক বছর আগে যদি আপনি আমাকে এই প্রশ্নটা করতেন, তা হলে টগবগে কোনও তরুণ ক্রিকেটারের মতো উত্তর দিতাম, অবশ্যই। কিন্তু এখন বলব, ব্যাপারটা আমি মাথায় রাখতে চাই না। কারণ ওটা আমার হাতে নেই। আমি শুধু বলব, যদি কিছু হওয়ার থাকে, হবে। আমার মনে হয় ব্যাপারটা ভাগ্যের উপরই অনেকটা নির্ভর করে,’’ বলে দিচ্ছেন অশ্বিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy