রবীন্দ্র জাডেজা। ছবি: রয়টার্স।
প্রথম ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকেই এসেছে সর্বোচ্চ রান। আবার বল হাতে মোক্ষম সময়ে এসেছে তিন উইকেট। এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজে সাফল্যের তুঙ্গে রয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা। এক কথায় ভারতীয় দলের মিস্টার ডিপেন্ডেবল তিনিই। আজ নিজেও জানিয়ে দিলেন নিজের খেলায় তিনি খুশি। নিজের উপর আস্থা তৈরি হয়েছে তিনি সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে ভাল খেলতে পারেন। শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে এমনটাই জানিয়ে গেলেন জাডেজা। বলেন, ‘‘এটা ভেবে ভাল লাগছে আমি টেস্ট ম্যাচে ভাল খেলতে পারছি। অতীতে একদিনের ম্যাচে ভাল খেলেছি টেস্ট ম্যাচেও ভাল করেছি। এখন যেটা ভেবে আশ্বস্ত লাগছে আমি দুই ফর্ম্যাটের ক্রিকেটেই ভাল করতে পারছি।’’
আরও খবর: শেষ বেলায় ক্যাচ বিভ্রাটে বিতর্ক ধর্মশালা টেস্টে
তৃতীয় দিন সকালে যখন ঋদ্ধিমান সাহাকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন জাডেজা তখন পাহাড় প্রমাণ চাপ ছিল দু’জনের উপরেই। কারণ ৩০০ রানের লক্ষ্যে নেমে দ্বিতীয় দিনের শেষে ছ’উইকেট হারিয়ে তখও লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি ভারত। বলেন, ‘‘সকালের অবস্থা বেশ চাপের ছিল। উইকেটে সিম ও বাউন্স দুটোই ছিল। ফার্স্ট বোলাররা ১৪০ স্পিডে বল করছিল। এরকম পরিস্থিতি আগেও টেস্ট ক্রিকেটে দেখেছি। কিন্তু আজকে উপলব্ধি করলাম চ্যালেঞ্জটা কোথায়।’’ এই টুর্নামেন্টে যে ভাবে খেলেছেন তিনি তাতে ম্যান অফ দ্য সিরিজ হয়তো উঠবে তাঁর হাতেই। টিম মেট থেকে প্রাক্তন সকলেই তাঁকে দলের সব থেকে নির্ভর যোগ্য ক্রিকেটার হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। যিনি সব পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে পারেন। বলেন, ‘‘দলের গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার হয়ে ওঠার লক্ষ্যে যদি কেউ হার্ড ওয়ার্ক করে সেটা কাজ দেয়। আমার সব থেকে বড় প্রাপ্তি সেটাই যখন দলের জয়ে কাজে লাগতে পারি।’’
ভারতীয় শিবিরে উচ্ছ্বাস।
কিন্তু শেষ বেলায় ভারতের ভাগ্যে জুটেছিল মাত্র ৩২ রানের লিড। যদিও ব্যাটসম্যানদের বাকি থেকে যাওয়া কাজ করে দিলেন বোলাররা। সঙ্গে নিজেদের কাজও করলেন অসাধারণভাবে। বলেন, ‘‘কখনও ৩২ রানের লিডটাও অনেক কাজের হয়ে যায়। বিশেষ করে এমন উইকেটে। আমরা এই মুহূর্তে ব্যাকফুটে নেই। এরকম পরিস্থিতে চাপমুক্ত হয়ে খোলা মনে বল করতে পারবে সবাই। আমরা বিন্দাস মুডেই থাকতে পারব।’’ জাডেজা অবশ্য মনে করেন ভারতের পেসারদের মতই ভাল বল করছেন অজি পেসাররা। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে ভাগ্য ছিল না। লক্ষ্যের কাছে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছিলেন দু’জন। জাডেজা বলেন, ‘‘আমি আর ঋদ্ধি আলোচনা করে নিয়েছিলাম আমাদের হাতে বেশি ব্যাটিং নেই। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। যে কারণে বড় শট খেলতে হবে।’’ হাতে রয়েছে আরও দু’দিন। করতে হবে মাত্র ৮৭ রান। তাই চতুর্থ দিন খোলা মনেই নামবে ভারতের বোলাররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy