যুবভারতীর গ্যালারিতে আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে টিফো। ছবি: সৌনভ বাগুই।
আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে টিফো দেখা গেল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। মঙ্গলবার ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান এবং বেঙ্গালুরু এফসি। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ম্যাচের শেষে টিফো প্রদর্শন করেন মোহনবাগান সমর্থকেরা।
আদালতের নির্দেশ মেনে মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু সেমিফাইনাল শেষ হওয়ার পর সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা গ্যালারিতে টিফো প্রদর্শন করেন। তাতে লেখা ছিল, ‘হাতে হাত রেখে এ লড়াই, আমাদের বোনের বিচার চাই!’ এ দিনের টিফোতেও দেখা গিয়েছে কলকাতার দুই প্রধানের সমর্থকদের মধ্যে তৈরি হওয়া সম্প্রীতির ছবি। লেখায় ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ-মেরুন এবং লাল-হলুদ রং। দু’দিকে দু’টি মেয়ের ছবিতেও ছিল দুই প্রধানের জার্সির রং।
আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় গত ১৮ অগস্ট যুবভারতীতে ডুরান্ড কাপের ডার্বি আয়োজনের অনুমতি দেয়নি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। ডার্বি বাতিলের প্রতিবাদ এবং আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের দাবিতে পথে নেমেছিলেন কলকাতার তিন প্রধান ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান এবং মহমেডানের সদস্য-সমর্থকেরা। পরে ডুরান্ডের ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হলেও অশান্তির আশঙ্কায় মঙ্গলবার সেমিফাইনালে টিফো নিষিদ্ধ করেছিল বিধাননগর পুলিশ।
সোমবার বিধাননগর কমিশনারেটের তরফে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, মঙ্গলবার যুবভারতীতে কোনও টিফো (ব্যানার, পোস্টার) নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পুলিশের সেই নির্দেশিকা চ্যালেঞ্জ করে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছিল। হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ময়ূখ বিশ্বাস। বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে জানায়, টিফো নিয়ে মাঠে ঢোকা যাবে। কিন্তু সেই টিফো ভারী কোনও বস্তু দিয়ে তৈরি করা যাবে না। আরও বলা হয়, শুধু খেলা শুরুর আগে বা বিরতির সময় টিফো দেখানো যাবে। যাতে কোনও দর্শকের খেলা দেখতে অসুবিধা না হয়। সেই মতো খেলা শেষ হওয়ার পর টিফো প্রদর্শন করেন সবুজ-মেরুন সমর্থকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy