টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে রাখা হয়নি রোনাল্ডোকে। —ফাইল চিত্র
খেলতে নামানো হয়নি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে। তিনি বিরক্ত। প্রকাশও করে ফেললেন নিজের সেই বিরক্তি। খেলা শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়লেন। সেই কারণে শাস্তিও দিল ক্লাব। পরের ম্যাচে চেলসির বিরুদ্ধে তাঁকে দলে রাখাই হল না। রোনাল্ডো নিজেও অনুতপ্ত। সকলের সামনে স্বীকার করে নিলেন কাজটা করা উচিত হয়নি।
টটেনহ্যামের বিরুদ্ধে বুধবার ম্যাচ ছিল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের। সেই ম্যাচে প্রথম একাদশে ছিলেন না রোনাল্ডো। দলের ম্যানেজার এরিক টেন হ্যাগ তাঁকে গোটা ম্যাচে বসিয়েই রাখেন রিজার্ভ বেঞ্চে। বিরক্ত হয়ে যান পর্তুগিজ তারকা। সংযুক্ত সময়ের খেলা চলাকালীন রোনাল্ডো মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। যা মোটেই খুশি করতে পারেনি প্রাক্তন ফুটবলারকে। ম্যাঞ্চেস্টার ২-০ জিতলেও রোনাল্ডোর ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। অনেকে ধিক্কার জানান রোনাল্ডোকে।
রোনাল্ডোর এমন ব্যবহার ভাল চোখে দেখছে না ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডও। তারকা ফুটবলারের বিরুদ্ধে কঠিন সিদ্ধান্ত নেয় দল। ম্যাঞ্চেস্টারের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, শনিবার চেলসির বিরুদ্ধে দলে রাখা হবে না রোনাল্ডোকে। বাকি দল তৈরি খেলার জন্য। রোনাল্ডোকে বুঝিয়ে দেওয়া হল যে, তিনি যত বড় তারকাই হন না কেন, দলের উপরে নন। অনুতপ্ত রোনাল্ডোও।
সমাজমাধ্যমে রোনাল্ডো লেখেন, “গোটা কেরিয়ারে আমি সব সময় সতীর্থ, কোচ, পরামর্শদাতাদের সম্মান করে এসেছি। আমি পাল্টে যাইনি। শেষ ২০ বছর ধরে যে মানুষটা ফুটবল খেলছে, আমি এখনও সেই মানুষই আছি। অন্যকে সম্মান দেওয়া আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ছোটবেলায় খেলা শুরু করেছি। বড়রা আমার কাছে সব সময় উদাহরণ ছিলেন। সেই কারণে আমিও চেষ্টা করেছি ছোটদের কাছে উদাহরণ হয়ে উঠতে। আমার দুর্ভাগ্য সেটা সব সময় সম্ভব হয়নি। উত্তেজনার বশে ভুল করে ফেলেছি। আমি চেষ্টা করব আরও পরিশ্রম করতে এবং সতীর্থদের পাশে থাকতে। চাপের মুখে ভেঙে পড়া কোনও কাজের কথা নয়। এটা ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা আবার এক হয়ে উঠব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy