এ দিনের ম্যাচে যে দল জিতবে, আই লিগ ট্রফিও তাদের ঘরেই ঢুকত। যুবভারতীর হাজার হাজার সমর্থকের সামনে তেড়েফুঁড়েই শুরু করে মহমেডান। শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তা বেছে নেয়। গোকুলমের কাছে ড্র হলেই যথেষ্ট ছিল। ফলে তারা বল পায়ে রেখে খেলার নীতি অনুসরণ করে। শেষ হাসি হল গোকুলমেরই।
হেরে গেল মহমেডান। ছবি টুইটার
মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচে যুবভারতীর গ্যালারিতে হামেশাই দেখা যায় ব্যানার। শনিবার মহমেডানের ম্যাচেও একটি ব্যানার দেখা গেল, যা মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে গেল। সেই ব্যানারে কলকাতাকে বর্ণনা করা হল ফুটবলের মক্কা হিসেবে। আগেও ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে, সেটাও লেখা ছিল তলায়। কিছুদিন আগেই সন্তোষ ট্রফিতে ঘরের মাঠে আয়োজক কেরল হারিয়েছিল বাংলাকে। শনিবার বাংলার ক্লাব মহমেডানের সামনে ছিল সেই কেরলেরই এক ক্লাব। কিন্তু চিত্রনাট্যে বদল এ বারেও হল না।
মহমেডানের ইতিহাস গড়া হল না। প্রথম বার আই লিগ জয়ের সামনে এসেও পারল না মহমেডান। শেষ ধাপে এসেই থেমে যেতে হল তাদের। শনিবার যুবভারতী স্টেডিয়ামে তারা হেরে গেল গোকুলম কেরলের কাছে। ম্যাচের ফল গোকুলমের পক্ষে ২-১। গোকুলমের গোলদাতা রিশাদ এবং এমিল বেনি। মহমেডানের একমাত্র গোল আজহারউদ্দিন মল্লিকের। এখনও পর্যন্ত কোনও দলই টানা দু’বার আই লিগ জেতেনি। গোকুলম সেই রেকর্ড গড়ে ফেলল। এর আগে জাতীয় লিগ থাকার সময় ইস্টবেঙ্গল পর পর দু’বার লিগ জিতেছিল।
প্রতিযোগিতার ইতিহাসে এক বার আই লিগ ট্রফি ঢোকেনি মহমেডানের ঘরে। মোহনবাগান এবং ইস্টবেঙ্গল খেলার সময় তারা যোগ্যতা অর্জনই করতে পারত না। যখন দাপিয়ে খেলেছে, তখনও কোনও দিন জয়ের কাছাকাছি আসেনি। সেই আক্ষেপ মেটানোর সুযোগ এসেছিল শনিবার। তবে এ বারও খালি হাতেই থাকতে হল মহমেডানকে।
এ দিনের ম্যাচে যে দল জিতবে, আই লিগ ট্রফিও তাদের ঘরেই ঢুকত। যুবভারতীর হাজার হাজার সমর্থকের সামনে তেড়েফুঁড়েই শুরু করে মহমেডান। শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তা বেছে নেয়। গোকুলমের কাছে ড্র হলেই যথেষ্ট ছিল। ফলে তারা বল পায়ে রেখে খেলার নীতি অনুসরণ করে। ২৫ মিনিটের মাথায় ভাল সুযোগ এসেছিল মহমেডানের সামনে। কিন্তু গোকুলমের ডিফেন্ডাররা বল ক্লিয়ার করে দেন। কিছুক্ষণ পরে মার্কাস জোসেফও ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শটে জোর ছিল না। প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় গোকুলম। একক দক্ষতায় গোল করেন রিশাদ। তবে মহমেডানও হাল ছেড়ে দিতে রাজি ছিল না। কোচ এই সময় জোড়া বদল করেন। নামিয়ে দেন আজহারউদ্দিন মল্লিক এবং ফয়সল আলিকে। ৫৭ মিনিটেই গোল শোধ করে মহমেডান। বক্সের বাইরে থেকে ফ্রিকিক নিয়েছিলেন মার্কাস। তা আজহারউদ্দিনের গায়ে লেগে গোলে ঢোকে।
চার মিনিটের মধ্যে ফের এগিয়ে যায় গোকুলম। লুকা মাসেনের পাস থেকে দারুণ গোল করেন তিনি। যুবভারতী নিস্তব্ধ হয়ে যায়। শেষ বেলায় গোকুলমকে দু’গোল দেওয়ার জন্য একের পর এক পরিবর্তন করেন কোচ আন্দ্রেই চের্নিশভ। কিন্তু তা কাজে দেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy