শীঘ্রই সরকারি দায়িত্বভার ছাড়তে চলেছেন আমেরিকার ধনকুবের ইলন মাস্ক! ঘনিষ্ঠ বৃত্তে নাকি এমন কথাই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এই খবরকে ভুয়ো বলে উড়িয়ে দিলেন টেসলা-কর্ণধার স্বয়ং। ভারতীয় সময় অনুযায়ী বুধবার গভীর রাতে একটি টুইট করে মাস্ক জানিয়েছেন, খবরটি ‘ভুয়ো’। আপাতত পদ ছেড়ে কোথাও যাচ্ছেন না তিনি।
আরও পড়ুন:
গত জানুয়ারি মাসে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জেতার পরেই ‘প্রিয়জন’ মাস্ককে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদে বসান তিনি। অথচ খবর রটে যায়, মাস তিনেক যেতে না-যেতেই আমেরিকার দক্ষতা বিষয়ক দফতরের পদ ছাড়তে চলেছেন মাস্ক! আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মাস্ক ওই পদ ছাড়ছেন, সে কথা নাকি ঘনিষ্ঠমহলে ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প স্বয়ং। খবর ছড়িয়ে পড়তেই নানা মহলে শুরু হয়ে যায় জল্পনা, দায়িত্ব পেয়েই হঠাৎ কেন এমন পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন মাস্ক? অন্য দিকে, মাস্কের ‘ছুটি’র খবরের পরেই দাম বেড়ে যায় তাঁর সংস্থা টেসলার শেয়ারের। সেই আবহে এ বার মাস্কের ঘোষণায় ভাটা পড়ল যাবতীয় জল্পনায়।
আরও পড়ুন:
তবে সরকারি পদ থেকে মাস্কের ইস্তফা দেওয়া নিয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য সংক্রান্ত প্রতিবেদনটি আগেই ‘অসত্য’ বলে দাবি করে হোয়াইট হাউস। ‘পলিটিকো’–সহ আমেরিকার অন্য সংবাদমাধ্যমগুলিকে বিঁধে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলাইন লিভিট সমাজমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) লেখেন, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং মাস্ক দু’জনেই আগে প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন যে, বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে মাস্কের ‘অসাধারণ’ কাজের মেয়াদ শেষ হলেই তিনি ওই পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। ফলে এই খবরটি পুরোপুরি ভুয়ো।’’ প্রসঙ্গত, গত সোমবারও ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছিলেন, “মাস্ক অসাধারণ। কিন্তু তাঁরও নিজস্ব একটি বড় সংস্থা আছে। সেখানেই তিনি ফিরতে চান। কিন্তু যত দিন সম্ভব তাঁকে ধরে রাখার চেষ্টা করব।”