প্লে-অফের ছন্দ সেমিফাইনালেও ধরে রাখল বেঙ্গালুরু। প্রথম পর্বে জিতল তারা। ঘরের মাঠে এফসি গোয়াকে ২-০ গোলে হারাল তারা। সুনীল ছেত্রী মাত্র ৩৩ মিনিট খেললেন। তাতে জিততে সমস্যা হল না বেঙ্গালুরুর। সন্দেশ জিঙ্ঘনের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধে দলের জয় নিশ্চিত করেন এডগার মেন্ডেজ়।
আগের ম্যাচে মুম্বই সিটি এফসিকে ৫-০ গোলে হারানোয় আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেশি ছিল বেঙ্গালুরুর। গোয়ার বিরুদ্ধে শুরুটা দেখে তা বোঝা গিয়েছিল। সুনীলকে ছাড়াই প্রথম একাদশ নামান কোচ। তার পরেও আক্রমণ বেশি ছিল বেঙ্গালুরুর। রায়ান উইলিয়ামস, আলবের্তো নগুয়েরাদের আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল গোয়ার রক্ষণ।
একের পর এক কর্নারও পাচ্ছিল বেঙ্গালুরু। আক্রমণের চাপ রাখলেও গোল আসছিল না। অন্য দিকে অ্যাওয়ে ম্যাচ হওয়ায় কিছুটা রক্ষণাত্মক নীতি নিয়েছিলেন গোয়ার কোচ মানোলো মার্কেজ়। সেটাই কাজ হল। অতিরিক্ত চাপে ভেঙে পড়ল গোয়ার রক্ষণ। ৪২ মিনিটের মাথায় হেড করে বল বার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়িয়ে দিলেন অভিজ্ঞ সন্দেশ। ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় বেঙ্গালুরু।
আরও পড়ুন:
সমর্থকেরা ভেবেছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে খেলবেন সুনীল। কিন্তু তাঁকে নামাননি কোচ জেরার্ড জ়ারাগোজা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়ায় বেঙ্গালুরু। তার ফলও মেলে। ৫১ মিনিটের মাথায় ডান প্রান্ত থেকে বল পান মেন্ডেজ়। বক্সের ভিতর থেকে ডান পায়ে জোরালো শট মারেন তিনি। কিছু করার ছিল না গোলরক্ষকের। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বেঙ্গালুরু।
৫৭ মিনিটের মাথায় নামেন সুনীল। চিৎকারে ফেটে পড়ে শ্রীকান্তিরাভা স্টেডিয়াম। সুনীল কিছু সুযোগ পেলেও গোল করতে পারেননি। পিছিয়ে পড়ে খেলার ধরন কিছুটা বদলান মার্কেজ়। আক্রমণে ফুটবলার বাড়ান তিনি। কিন্তু একটি ভুল করেন তিনি। আর্মান্দো সাদিকুকে নামাতে অনেকটা দেরি করেন তিনি। ফলে গোয়ার আক্রমণ দানা বাঁধতে পারেনি।
শেষ দিকে সাদিকুকে নামান কোচ। যত ক্ষণ তিনি মাঠে ছিলেন তত ক্ষণ চাপ রেখেছিলেন। কিন্তু তত ক্ষণে খেলার ভাগ্য নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। আক্রমণের পাশাপাশি রক্ষণও ভাল করে বেঙ্গালুরু। অধিনায়ক রাহুল ভেকে স্তম্ভের মতো দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে টপকে গোল করতে পারেনি গোয়া। শেষ পর্যন্ত ০-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে তারা। দ্বিতীয় পর্বের খেলা ৬ এপ্রিল। সেই ম্যাচে গোয়ার মাঠে খেলতে নামবে দু’দল।