বিপদের সময় পরিবারের পাশে থাকতে কাতার থেকে লন্ডন ফিরে গেলেন ইংল্যান্ডের স্ট্রাইকার রহিম স্টার্লিং। তাঁর সারের বাড়িতে ভয়াবহ ডাকাতি হয়েছে শনিবার রাতে। সে সময় বাড়িতে ছিলেন তাঁর বাবা, মা এবং তিন সন্তান। আতঙ্কিত পরিবারের পাশে থাকতে বিশ্বকাপের মাঝেই বাড়ি ফিরলেন স্টার্লিং।
রবিবার সেনেগালের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচেও খেলেননি চেলসির স্ট্রাইকার। ম্যাচের আগেই বিশেষ বিমানে দেশে ফিরলেন গ্যারেথ সাউথগেটের দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। ইংল্যান্ড দল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ডাকাতির সময় স্টার্লিংয়ের সারের বাড়িতে ছিলেন তাঁর বাবা, মা এবং সন্তানরা। সশস্ত্র ছিল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় স্টার্লিংয়ের পরিবারের সকলেই আতঙ্কিত। পরিস্থিতি সামলাতে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। স্টার্লিংয়ের আবেদন অনুমোদন করেছে ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।১০ ডিসেম্বর ফ্রান্সের বিরুদ্ধেও ইংল্যান্ডের হয়ে স্টার্লিংয়ের খেলা অনিশ্চিত। তার আগে তিনি কাতারে ফিরতে পারবেন না বলেই মনে করছে ইংল্যান্ড শিবির।
ইংল্যান্ড কোচ সাউথগেট বলেছেন, ‘‘স্টার্লিংয়ের পারিবারিক সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা সমাধান করতেই সারে ফিরে গিয়েছে। খবর আসার পর ওর সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছি। দলের সকলে ওর পাশে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদেরও কিছুটা মানিয়ে নিতে হবে।’’ মানসিক অস্থিরতার জন্যই বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ সময় স্টার্লিংকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সকে হারিয়ে হ্যারি কেনরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে ১৪ ডিসেম্বরের সেমিফাইনালে স্টার্লিংকে পেতে পারে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনরা শেষ চারে উঠতে না পারলে, এ বারের মতো বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হয়ে যাবে স্টার্লিংয়ের।
দেশের হয়ে এখনও পর্যন্ত ৮১টি ম্যাচ খেলে ২০টি গোল করেছেন স্টার্লিং। তার মধ্যে ১৬টি গোল করেছেন শেষ চার বছরে। ২০১২ সাল থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলছেন তিনি। ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের শেষ চারে পৌঁছানোর নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল ২৭ বছরের স্ট্রাইকারের। ২০২০ সালের ইউরোতেও নজর কে়ড়েছিল তাঁর পারফরম্যান্স।
আরও পড়ুন:
বিশ্বকাপে গ্রুপের প্রথম দু’টি ম্যাচে ইংল্যান্ডের প্রথম একাদশে ছিলেন স্টার্লিং। ইরানের বিরুদ্ধে গোলও করেছিলেন। ওয়েলসের বিরুদ্ধে স্টার্লিংকে বেঞ্চে রাখা হয়েছিল। আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সেই ম্যাচে দলের বাকি ফুটবলারদের দেখে নিতে চেয়েছিলেন সাউথগেট। তাই স্টার্লিং-সহ বেশ কয়েক জন ফুটবলারকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। ইংল্যান্ডের খেলা তৈরি করার গুরুত্বপূর্ণ কারিগর স্টার্লিং।