ইস্টবেঙ্গল ছাড়লেন ক্লেটন সিলভা। উভয় পক্ষ বিচ্ছেদের কথা মেনে নিয়েছে। বুধবার ক্লাবের পক্ষ থেকে বিচ্ছেদের কথা জানানো হয়েছে। দু’দিন আগে অনুশীলনে কোচ অস্কার ব্রুজ়োর সঙ্গে ঝামেলা হয় ক্লেটনের। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার। সেই ঝামেলা শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদে গড়াল।
কয়েক দিন ধরে কোচের সঙ্গে ঝামেলা হলেও ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন অধিনায়কের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাননি। বরং ক্লেটনই আর থাকতে চাননি। তিনি চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুপার কাপের আগে ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকারের বিদায় সমস্যায় ফেলতে পারে লাল-হলুদ শিবিরকে। উল্লেখ্য, গত বছর ক্লেটনই ছিলেন ইস্টবেঙ্গলের সুপার কাপ জয়ের নায়ক। ক্লেটনকে তাঁর অবদানের জন্য ধন্যবাদ নিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে ভবিষ্যতের জন্য শুভেচ্ছাও জানানো হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। ২০২২ সালে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন ক্লেটন। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে ৫৮টি ম্যাচ খেলে ২০ গোল করেছেন তিনি।
সুপার কাপের প্রস্তুতির মধ্যেই কোচ ব্রুজ়োর সঙ্গে ঝামেলা তুঙ্গে ওঠে ক্লেটনের। গত রবিবার মাঠে নামার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বেরিয়ে যান তিনি। সেই অশান্তির আঁচ পড়ে পয়লা বৈশাখের দিন ক্লাবের মাঠে অনুশীলনেও। বারপুজোর পর সাইডলাইনে অনুশীলন করছিলেন ক্লেটন। সেই সময় ইস্টবেঙ্গলের সিটিও অময় ঘোষালকে দেখা যায় ক্লেটনকে কিছু বলতে। এর পরে কোচ অস্কারও বিদেশি ফুটবলারকে কিছু বলেন। তার পরেই মাঠ ছাড়তে দেখা যায় ক্লেটনকে। তাঁর সঙ্গে কোচের কথা কাটাকাটি হয়। ক্লেটনকে শান্ত করার চেষ্টা করেন শৌভিক চক্রবর্তী। ক্লেটনের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলতার অভিযোগ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ।
গত রবিবার নিউটাউনে ফেডারেশনের উৎকর্ষ কেন্দ্রে চেন্নাইয়িন এফসি-র সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। আনোয়ার আলির গোলে ম্যাচটি ১-০ জেতে ইস্টবেঙ্গল। সূত্রের খবর, ক্লেটনকে নিজের পছন্দের জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য একটি জায়গায় খেলাচ্ছিলেন অস্কার। শুরু থেকেই ক্লেটনকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন বিপক্ষকে চাপ দেওয়ার। ক্লেটন পাল্টা জানান, তিনি নিজের মতোই খেলবেন। এতেই অস্কার রেগে যান। তিনি ক্লেটনকে আবার বলেন নিজের জায়গায় খেলতে। কোচের কাছে এসে তাঁর সঙ্গে তর্ক করে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান ক্লেটন। সাজঘরে গিয়ে পোশাক বদলে সোজা হোটেলে ফিরে যান।
দীর্ঘ দিন ধরেই ক্লেটনের সঙ্গে অস্কারের ‘ঠান্ডা যুদ্ধ’ চলছে। ক্লেটনকে তাঁর পছন্দ নয়, এ কথা আগে বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন অস্কার। হাতে বিকল্প না থাকায় ক্লেটনকে আইএসএলে খেলিয়েছেন। তবে কিছুতেই ক্লেটনকে পরের মরসুমে রাখতে রাজি ছিলেন না ইস্টবেঙ্গল কোচ।