ফাইল চিত্র।
ফিফা নির্বাসন থেকে ভারতীয় ফুটবল কবে মুক্ত হবে? সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের বহুল চর্চিত নির্বাচন কী ভাবে হবে তা সম্ভবত আজ, সোমবারই অনেকটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
ভারতীয় ফুটবলকে ফিফার নির্বাসন থেকে মুক্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়িত্ব দিয়ে গত বুধবার শুনানি মুলতুবি করে দিয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এএস বোপন্না এবং বিচারপতি জেবি পাদরিওয়ালার বেঞ্চ। তার আগেই সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছিলেন, সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্র। পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার আশাবাদী, দ্রুত ভারতীয় ফুটবলের সঙ্কট মিটে যাওয়ার ব্যাপারে। সলিসিটর জেনারেলের বক্তব্য শোনার পরেই শুনানি মুলতুবি ঘোষণা করেন বিচারপতিরা। আজ, সোমবার সকালে ফেডারেশন সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা সুপ্রিম কোর্টে।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত কী রায় দেবে, তা নিয়ে চর্চার মধ্যেই ফেডারেশনের নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে ক্রীড়াপ্রেমীদের। ২৮ অগস্ট এই নির্বাচন হওয়ার কথা। গত শুক্রবারই মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। রবিবার জানা গিয়েছে সভাপতি পদের জন্য পাঁচ, কোষাধ্যক্ষের জন্য ছয় এবং কর্মসমিতির জন্য এগারো জনের মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কিছু মনোনয়ন বাতিলও হয়েছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ইউজেনসন লিংডো ও ভালাঙ্কা চার্চিল। ফেডারেশনের সভাপতি পদে এই মুহূর্তে প্রধান লড়াই ভাইচুং ভুটিয়া ও কল্যাণ চৌবের মধ্যে। কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স (সিওএ)-র নির্বাচিনবিধি অনুযায়ী ব্যক্তিগত ভাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। কিন্তু কল্যাণ এসেছেন গুজরাত ফুটবল সংস্থার তরফে। তাঁকে সমর্থন জানিয়েছে অরুণাচল প্রদেশ। কল্যাণ নিজে বঙ্গ বিজেপির সক্রিয় কর্মী। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনেও দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের বরাভয় রয়েছে। এই কারণে ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচনে ভাইচুংয়ের চেয়ে কল্যাণকে কিছুটা এগিয়েই রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।
ফিফা অনুমোদিত নির্বাচনী প্রক্রিয়া অনুযায়ী, ফুটবলারদের এখনও পর্যন্ত স্বাধীন ভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি। তাঁদের রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবেই আসতে হবে। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত যদি ফিফার নিয়মকেই মান্যতা দেয়, সেক্ষেত্রে ভাইচুংয়ের নির্বাচনে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
শোনা যাচ্ছে কেন্দ্রর তরফে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে দ্রুত সমস্যা সমাধানের জন্য। এর মধ্যে অন্যতম হল— এক) নির্বাচনের মাধ্যমে ফেডারেশনের পরিচালন সমিতি গঠন করতে হবে। তৃতীয় পক্ষের (এ ক্ষেত্রে সিওএ) হস্তক্ষেপ থাকবে না। দুই) এআইএফএফ অনুমোদিত রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সংস্থার প্রতিনিধিরাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। খেলোয়াড়দের অন্তর্ভূক্ত করা যাবে না। তিন) নির্বাচন পরিচালনার করবে ফেডারেশনের জেনারেল বডির নির্বাচিত একটি স্বাধীন কমিটি। চার) নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করতে হবে। প্রাক্তন ফুটবলারদের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন যাঁরা দিয়েছেন, তাদের বাতিল করতে হবে। পাঁচ) ফেডারেশনের গঠনতন্ত্র পরিমার্জন করতে হবে ফিফা ও এএফসির নিয়ম মেনেই। এবং ফেডারেশনের জেনারেল বডির অনুমোদন নিতে হবে। তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ থাকবে না। ছয়) ২৩ সদস্যের পরিচালন সমিতি গড়তে হবে। এর মধ্যে সভাপতি, সহ-সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ ছাড়াও ১৪ জন কর্মসমিতির সদস্য থাকবেন। এ ছাড়াও ছয় জন ফুটবলার থাকবেন (চার জন পুরুষ ও দু’জন মহিলা)। তবে ফুটবলারদের নির্বাচনে কোনও ভোটাধিকার থাকবে না।
দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্র না সিওএ— কাদের প্রস্তাবকে মান্যতা দেয়, তা সোমবারই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
না খেলেই ফিরছে গোকুলম : শেষ পর্যন্ত এএফসি মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ না খেলেই উজ়বেকিস্তান থেকে ফিরে আসছে গোকুলম কেরল এফসি দল। তাদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের পক্ষ থেকে। ফিফা এবং এএফসির সঙ্গে আলোচনার পরেও মেলেনি সবুজ সঙ্কেত। ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ভিসি প্রবীণ বলেছেন, “যত ক্ষণ না ফিফার নির্বাসন উঠবে, আমরা কোনও ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy