সদ্য গত কাল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়া ২০০.২ কোটি ডলার অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। আর এর মধ্যেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জড়িত একের পর এক গবেষণামূলক কর্মসূচি ও প্রকল্পে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বহু বিজ্ঞানী ও গবেষককে তাঁদের কাজ বন্ধ করে দিতে বলা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন জটিল রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত গবেষণার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার মধ্যে এক দিকে যেমন রয়েছে যক্ষ্মা এবং এএলএসের মতো অসুখ সংক্রান্ত গবেষণা, তেমনই রয়েছে মানব দেহে রেডিয়েশনের প্রভাব সংক্রান্ত বহু পরীক্ষাও। ট্রাম্প প্রশাসন আর্থিক অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল, দ্য স্কুল অব পাবলিক হেল্থ এবং আমেরিকার অজস্র হাসপাতাল ও পরীক্ষাগারে নিয়মিত হওয়া বহু প্রকল্প ও গবেষণা এখন বন্ধ হওয়ার মুখে। একই সঙ্গে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বহু গবেষক, শিক্ষাকর্মী এবং বৃত্তি পাওয়া পড়ুয়াদের আর্থিক সংস্থানও প্রশ্নের মুখে।
যে মুহূর্তে গত কাল আমেরিকার শিক্ষা দফতর হার্ভার্ডের ওই বিপুল পরিমাণ কেন্দ্রীয় অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কাজ বন্ধের নোটিস পেয়েছেন বেশ কিছু বিজ্ঞানী ও গবেষক। তাঁদেরই এক জন অধ্যাপক ডেভিড আর ওয়াল্ট। হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুল এবং ব্রিগহ্যাম অ্যান্ড উইমেনস হসপিটালের এই শিক্ষক তথা গবেষক জানালেন, দেশের স্বাস্থ্য এবং মানবিক পরিষেবা দফতর থেকে তাঁকে কালই নোটিস পাঠানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, স্নায়ু সংক্রান্ত জটিল রোগ এএলএস নিয়ে গবেষণার কাজ যেন তিনি বন্ধ করে দেন। এর জন্য বার্ষিক তিন লক্ষ ডলারের যে অনুদান তিনি পেতেন, সেটিও সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওয়াল্ট জানালেন, এই গবেষণা বন্ধ হয়ে গেলে এই অসুখে ভোগা রোগীরা ভবিষ্যতে বড় অসুবিধের মধ্যে পড়তে চলেছেন। একই ভাবে গবেষণা বন্ধের নোটিস পেয়েছেন হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেল্থ-এর অধ্যাপিকা সারা ফরচুনও। তাঁকে যক্ষ্মার গবেষণা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। আমেরিকা সরকারের থেকে তিনি যার জন্য ৬ কোটি ডলার পেতেন। সংবাদ সংস্থা
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)