একটা চরম উত্তেজক সিরিজের শেষ পর্বে এসে পড়েছি আমরা। যেখানে মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি মাঠের বাইরের সংঘর্ষটাও কম হয়নি। কিন্তু বিরাট কোহালিকে খেলার দুনিয়ার ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প’ বলা বা ও ‘সরি’ কী ভাবে বলতে হয় জানে না, এ সব মন্তব্য করা মেনে নেওয়া যায় না। অথচ খেলার পাতায় এখন এই খবরগুলোই চোখে পড়ছে।
এই মন্তব্যগুলো যদি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট থেকে না এসে অন্য জায়গা থেকে আসত, তা হলে কোনও মূর্খের প্রলাপ বলে পাত্তা না দিলেও হতো। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা হচ্ছে না। সব দেখে শুনে মনে হচ্ছে মতিভ্রমটা মাঠের থেকে বোর্ডরুমেও ঢুকে পড়েছে। ‘কুৎসিত অস্ট্রেলিয়া’র যে ভূতটা ওদের তাড়া করে বেড়াত, কোহালির ঘটনার পরে সেটা নতুন চেহারায় ফিরে আসবে। যেটা অস্ট্রেলিয়া বা ক্রিকেট বিশ্ব, কারও কাছেই কাম্য নয়।
এ বার ক্রিকেটে ফিরে আসি। অস্ট্রেলিয়া আর পাঁচ দিন, বা কারও কারও মতে হয়তো বা চার দিন, যদি ঠিকঠাক ক্রিকেটটা খেলতে পারে, তা হলে ভারতের মাটি থেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পারবে। ধর্মশালার এই পিচে স্পিন দৈত্যদের নিয়ে মনে হয় বেশি ভাবার প্রয়োজন হবে না। কারণ এই মাঠে সাধারণত পেসাররাই বেশি শিকার তুলে নেয়।
অস্ট্রেলিয়ার এই টিমটায় সবাই মোটামুটি কিছু না কিছু অবদান রেখেছে। ব্যাটসম্যান, স্পিনার, পেসার— সবাই। ভারতের সুবিধা ওদের ঘরের মাঠ। কিন্তু তা বলে ভারতকে ফেভারিট বলা যাবে না। এটা বলতেই হবে, যতটা আশা করা গিয়েছিল, তার থেকে এই সিরিজে এখনও অনেক ভাল খেলেছে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া যে এখনও সিরিজে টিকে রয়েছে, তার জন্য কৃতিত্ব ওদের ব্যাটসম্যানদের। ওদের ব্যাটিংয়ের শুরু আর শেষটা ধরে রাখছে দু’জন নতুন মুখ। ম্যাট রেনশ এবং পিটার হ্যান্ডসকম্ব এমন ভাবে স্পিনটা খেলছে, যেন জন্ম থেকেই ওই কাজটা করে এসেছে। ওরা আগেই বুঝে যাচ্ছে বলটা কী রকম হবে। খেলছেও একেবারে শেষ মুহূর্তে। স্টিভ স্মিথ এবং শন মার্শ যেন বাকিদের জন্য একটা রোডম্যাপ রেখে যাচ্ছে কী ভাবে ইনিংসটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে। আর ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটে শ্যাওলা জমে গেলেও ধর্মশালায় ও কিন্তু চেনা মেজাজে ফিরতে পারে। পরিস্থিতি অনুযায়ী এক জন বাড়তি পেসারও খেলাতে পারে কোহালি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy