—ফাইল চিত্র।
বিসিসিআই যদি রঞ্জি ক্রিকেটারদের জন্য পেনশনের ব্যবস্থা করতে পারে তা হলে ফেডারেশন কেন সৈয়দ নইমুদ্দিনের মতো প্রাক্তন ফুটবলারদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করবে না? এই প্রশ্ন তুলে সরব হলেন প্রাক্তন ফুটবলাররা।
শুক্রবার আনন্দবাজারে দেশের একমাত্র ফুটবল দ্রোণাচার্য নইমের ‘স্মারক বিক্রি করে বাঁচতে চান নইম’-এই খবরের জেরে উত্তাল ময়দান। সরব প্রাক্তন ফুটবলার থেকে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীরাও। সকলেরই প্রশ্ন, দেশের ও ক্লাবের হয়ে এত ঝলমলে ফুটবল জীবন নিয়েও যদি কারও এ রকম অবস্থা হয়, তা হলে সেটা তো ফুটবলের লজ্জা?
নইমের একসময়ের সতীর্থ ফুটবলার সুব্রত ভট্টাচার্য বলে দিলেন, ‘‘ক্রিকেটাররা রঞ্জি ট্রফি খেললে পেনশন পান। আর নইমের মতো মানুষ দেশকে এশিয়াডে পদক এনে দেওয়ার পরও আর্থিক সমস্যায় পড়েন। কেন ফেডারেশন থেকে কোনও সাহায্য পাবেন না নইমদার মতো ফুটবলার। তা হলে দিল্লির ফুটবল হাউস করছেটা কী?’’ নইম যে জীবনযাপনের জন্য ছেলে-মেয়ের উপরই নির্ভরশীল সেটা জানেন সুব্রত থেকে গৌতম সরকার সবাই। সুব্রত বললেন, ‘‘নইমদার সঙ্গে তো মাঝেমধ্যেই কথা বলি। খারাপ লাগে ওঁর কথা শুনলে। কারও কাছে হাত পাততে পারেন না। আত্মসম্মান বোধ আছে। সম্মান নিয়ে বাঁচতে চান। খেলোয়াড় জীবনে তো কিছুই পাননি।’’
আরও পড়ুন: নেমারের আগে রেকর্ড দামে বিক্রি হয়েছেন এঁরা
নইমের খবর পড়ে তাঁকে ফোন করেছিলেন গৌতম সরকার। বলছিলেন, ‘‘নইমদার মতো মানুষ হয় না। তবে অন্য অনেকের মতো গোছানো মানুষ নন। সে জন্যই তাঁকে হতাশায় পদক বিক্রির কথা ভাবতে হচ্ছে।’’ আর মোহনবাগানে চার বছর টানা কোচিং করানো সঞ্জয় সেনের মন্তব্য, ‘‘নইমদার সময় এত টাকা পয়সা ফুটবলে ছিল না। এঁদের মতো প্রাক্তনদের পাশে ফেডারেশন এবং সরকারের দাঁড়ানো উচিত।’’
আর যাঁকে নিয়ে এই আলোড়ন সেই নইম এ দিন পেয়েছেন অসংখ্য ফোন। পাশে থাকার আশ্বাস। ‘‘সরকার বা ফেডারেশন কারও কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান পাইনি। দেশের হয়ে ট্রফি জেতার পরও পাইনি কোনও আর্থিক সাহায্য। ছেলে-মেয়েরা আমাকে সাহায্য না করলে সমস্যায় পড়তাম।’’ বলে দিলেন নইম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy