ইন্ডিয়ান অ্যারোজ ১ • ইস্টবেঙ্গল ২
তারকা সুলভ হাবভাব নেই। অনুশীলনে আসেন সাইকেল চালিয়ে। তাঁর চোরা গতি ইতিমধ্যেই ত্রাস ডিফেন্ডারদের।
ইস্টবেঙ্গলের সেই মালয়ালি স্ট্রাইকার জবি জাস্টিন বর্তমানে ভারতের সেরা ‘বক্স স্ট্রাইকার’ হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় দলে জায়গা পাননি। আক্ষেপ তিনি মেটাচ্ছেন লাল-হলুদ জার্সি গায়ে গোলের পর গোল করে। মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরে এ বারের আই লিগে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে তাঁর সাত নম্বর গোলটা করে ফেললেন জবি। ম্যাচের সেরাও তিনি। বিদেশি স্ট্রাইকারহীন লাল-হলুদ শিবিরে তিনিই এখন গোলের জন্য ভরসা।
জবির মতোই এ বার ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে চাপের মুখে গোল করছেন লালডানমাউইয়া রালতে। এ দিনও গোল করলেন। এই জবি-ডানমাউইয়া যুগলবন্দিতেই ভুবনেশ্বর থেকে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরছে ইস্টবেঙ্গল।
কলকাতা থেকে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে দল বেঁধে বেশ কিছু সমর্থকও এসেছিলেন খেলা দেখতে। খেলা শেষে তাঁরা এই দু’জনের নামেই জয়ধ্বনি দিতে দিতে বাড়ি ফেরার রাস্তা ধরলেন। এ দিন জেতায় দশ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে আই লিগ তালিকায় চারে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।
ইন্ডিয়ান অ্যারোজ কোচ ফ্লয়েড পিন্টো তাঁর প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করেন। মাঝমাঠ পোক্ত করতে নামান বিক্রম প্রতাপ সিংহ, সুরেশ সিংহ ও সঞ্জীব স্ট্যালিনকে। কিন্তু তার সেই পরিকল্পনা আটকাতে পারল কোথায় ইস্টবেঙ্গলকে!
২৬ মিনিটেই খাইমে স্যান্টোসের ক্রস লক্ষ্য করে ছুটে এসে শান্ত মাথায় সেই বল জালে জড়িয়ে দেন ডানমাউইয়া। চার মিনিট পরেই অ্যারোজের জিতেন্দ্র সিংহ নিজেদের বক্সে ডানমাউইয়াকে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দেন ইস্টবেঙ্গলকে। কিন্তু তা নষ্ট করেন লালরিনডিকা রালতে। প্রথমার্ধে ফল ছিল ১-০।
লাল-হলুদ জার্সি গায়ে এ দিন প্রথম ম্যাচেই টোনি দোভাল নজর কাড়লেন তাঁর পাস দেওয়ার দক্ষতার জন্য। ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় গোল তাঁর পাস থেকেই। যে বল লক্ষ্য করে ঠিক জায়গা মতো পৌঁছে যান সামাদ। তাঁর শট অ্যারোজ গোলকিপার চাপড়ে বিপন্মুক্ত করতে সামনে ফেলেন। ছুটে এসে সেই বল গোলে ঠেলেন জবি।
জিতলেও, ইস্টবেঙ্গল রক্ষণে দুই প্রান্ত থেকে বল উড়ে এলেই সমস্যা হয়েছে। শেষ দিকে মনোজ মহম্মদ বক্সে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টি দেন ইন্ডিয়ান অ্যারোজকে। যেখান থেকে নিনথোয়িংআনবা ব্যবধান কমান। চ্যাম্পিয়ন হতে প্রতি ম্যাচে গোল খাওয়ার অভ্যাস দূর করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। একই সঙ্গে চুলোভা ও বোরখাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। প্রথম জন এ দিন বিপক্ষ ফুটবলারকে মাথা দিয়ে ঠুকে লাল কার্ড দেখলেন। দ্বিতীয় জনও মেজাজ হারাচ্ছিলেন। ভবিষ্যতে যা সমস্যা হতে পারে! এ ক্ষেত্রে তাঁরা আদর্শ করতে পারেন জনি আকোস্তাকে। যিনি সৃষ্টিশীল পাস বাড়ানোর সঙ্গে রক্ষণও সামলাচ্ছেন।
ইস্টবেঙ্গল: রক্ষিত দাগার, লালরাম চুলোভা, জনি আকোস্তা, বোরখা গোমেস পেরেস, মনোজ মহম্মদ, কাশিম আইদারা, লালরিনডিকা রালতে, লালডানমাউইয়া রালতে (ব্রেন্ডন ভানলালরেমডিকা), টোনি দোভাল, খাইমে স্যান্টোস কোলাদো (সামাদ আলি মল্লিক), জবি জাস্টিন (কমলপ্রীত সিংহ)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy