Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
East Bengal

সার্দানকে হারিয়ে লিগ শীর্ষেই ইস্টবেঙ্গল

দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে দু’গোলের লিড এনে দেন রাইট ব্যাক সামাদ আলি মল্লিক। এই গোল বেশ কয়েক বছর মনে রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা।

গোলের মুখে লাল-হলুদ ব্রিগেড। -নিজস্ব চিত্র।

গোলের মুখে লাল-হলুদ ব্রিগেড। -নিজস্ব চিত্র।

কৌশিক চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ১৯:৫৭
Share: Save:

কলকাতা লিগে অপ্রতিরোধ্য ইস্টবেঙ্গল। আটে আট করার লক্ষ্যে বুধবার আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড। এ দিন লিগের অন্যতম কঠিন প্রতিপক্ষ সার্দান সমিতিকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল খালিদ জামিলের ছেলেরা। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল তিনটি করেন লালডানমাওইয়া রালতে, সামাদ আলি মল্লিক এবং মামুদ আল আমনা।

তবে, তিন গোলে সার্দানকে হারালেও এ দিনের ম্যাচ অন্তত ৫-৬ গোলে জিততে পারত ইস্টবেঙ্গল। একের পর এক সিটার মিস করে এবং একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে খেই হারিয়ে ফেলে লাল-হলুদের তরুণ ফুটবলাররা।

আরও পড়ুন: কোচিংয়ে ফিরলেন ময়দানের ভোম্বলদা

আরও পড়ুন: অমিতাভ চৌধুরীকে শো-কজ করল সুপ্রিম কোর্ট

এ দিন ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে যায় লাল-হলুদ। সার্দান ডিফেন্ডার দলরাজ সিংহ বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে জমা দিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গলের রালতের পায়ে। বিপক্ষ ডিফেন্ডারের ‘উপহার’কে ব্যবহার করতে ভুল করেননি চলতি মরসুমে পাহাড় থেকে কলকাতায় খেলতে আসা এই মিডফিল্ডার। ম্যাচের আট মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। এর পর একের পর এক আক্রমণ তুলে আনলেও প্রথমার্ধে আর গোল তুলতে পারেনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচের ৩১ মিনিটে এবং ৩৬ মিনিটে পর পর দু’টি ওপেন নেট মিস করেন আল আমনা এবং ব্রেন্ডন।

ম্যাচের মাঝে দুই দলের ফুটবলাররা।-নিজস্ব চিত্র।

এরই মাঝে লাল-হলুদের ডিফেন্সের ভুলে গোল করেন সার্দানের কোকো সাকিব। কিন্তু অফ সাইড থাকায় সেই গোল বাতিল করেন রেফারি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে।

প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও শুরুর দিকেই গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটে বিশ্বমানের গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে দু’গোলের লিড এনে দেন রাইট ব্যাক সামাদ আলি মল্লিক। এই গোল বেশ কয়েক বছর মনে রাখবেন ফুটবলপ্রেমীরা। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে পর পর দু’টি পরিবর্তন করেন খালিদ। প্রথম ম্যাচের নায়ক সুহেরের পরিবর্তে মাঠে নামানো হয় গ্যাব্রিয়ালকে। এবং গত ম্যাচের নায়ক সুরাবদ্দিন মল্লিক নামানো হয় ব্রেন্ডনের পরিবর্তে।

যার সুবাদে ম্যাচের ৭৩ মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন সিরিয়ান আল আমনা। ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে এ দিনই গোলের খাতা খোলেন আমনা। এ দিনের ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ম্যাচ শেষে আমনার গলায় দলগত সংহতির কথা। তিনি বলেন, “গোল পাওয়ার থেকেও বেশি ভাল লাগছে, দল জেতায়। গোল পেয়েছি ঠিকই। তবে আমার কাজ গোলের পাস বাড়ানো। এটাই আমি করতে চাই।”

তিন গোলে ম্যাচ হেরে সার্দান কোচ হেমন্ত ডোরা বলেন, “যে গোলগুলো আজ ইস্টবেঙ্গল করেছে তার প্রত্যেকটি আমাদের ফুটবলারদের ভুলেই হয়েছে। এ ভাবে বল পায়ে জমা দিয়ে দিলে যে কোনও দলই গোল খাবে। পরের ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই শুরু হবে।”

অন্য দিকে ম্যাচ জিতে খালিদ বলেন, “দলের খেলায় আমি খুশি। ফুটবলাররা দারুণ ছন্দে রয়েছে। সকলকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাব।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE