অস্বস্তি: ড্রেসিংরুমে বিদ্যূৎ নেই। স্বস্তির খোঁজে ঋদ্ধি। নিজস্ব চিত্র
মাত্র ৩০ রানে ধস নামল মোহনবাগান ইনিংসে। এই ৩০ রানে পড়ল শেষ ছ’উইকেট। স্থানীয় ক্রিকেটের সেরা দল মোহনবাগান সিএবি লিগের ডার্বিতে ১৪৬ রানে হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেল। শুক্রবার থেকে ইডেনে লিগ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি টাউন ক্লাব। যারা অন্য সেমিফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ভবানীপুর ক্লাবকে এক উইকেটে হারাল।
ইস্টবেঙ্গলের ৩৯০-৯-এর পাল্টা ব্যাট করতে নেমে মোহনবাগান একটা সময় ছিল ২১৪-৪। সেখান থেকে তারা ২৪৪-এ অলআউট। সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্জীব উইকেটে মিডিয়াম পেসার সৌরভ মন্ডল ধস নামান মোহনবাগান ইনিংসে। মাত্র দেড় ওভারে চার রানের মধ্যে শেষ চার ব্যাটসম্যানকে ফেরান সৌরভ। যিনি ঋদ্ধিমান সাহা ও অধিনায়ক শুভময় দাসকেও আউট করেন। সব মিলিয়ে ছ’উইকেট সৌরভের। যাকে তিনি তাঁর কেরিয়ারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স বলছেন।
সৌরভের ঝোড়ো স্পেলে লাঞ্চের পরেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। কিন্তু চড়া রোদ ও তুমুল গরমে ছটফট করা ক্রিকেটাররা যে খেলার শেষে ড্রেসিং রুমে গিয়ে একটু স্বস্তি পাবেন, তার উপায় ছিল না এ দিন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় মাঠের ড্রেসিং রুম ছিল বিদ্যূৎহীন। না পাখা, না এসি। প্রচণ্ড গরমে ছটফট করেন ক্রিকেটাররা। শরীর ঠাণ্ডা করার কোনও উপায়ই ছিল না তাঁদের।
কিন্তু কেন জেনারেটরের ব্যবস্থা ছিল না? ঋদ্ধিমান সাহা বলেন, ‘‘এ রকম তো আগেও দেখেছি। সিএবি কর্তাদের জিজ্ঞেস করুন, কেন ছিল না। তবে এই গরমে ক্রিকেট খেলাটা খুবই কষ্টকর।’’ সিএবি-র টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান সুব্রত সরকার বলেন, ‘‘বোর্ডের ম্যাচ ছাড়া জেনারেটরের ব্যবস্থা থাকে না।’’ কিন্তু যুগ্মসচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘লিগ সেমিফাইনালে খেলছে মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল। অথচ জেনারেটর থাকবে না? জেনারেটর রাখা উচিত ছিল।’’
তবে সে সবের তোয়াক্কা না করে মাঠে একাই আগুন ঝরান সৌরভ মন্ডল। বিপক্ষের ব্যাটিং লাইন-আপকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার পর সৌরভ বলেন, ‘‘উইকেট থেকে এতটুকু সাহায্য না পাওয়া সত্ত্বেও যে বড় দলের বিরুদ্ধে এই সাফল্য পেলাম, এ জন্যই এটা আমার কেরিয়ারের সেরা পারফরম্যান্স।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy