Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

সুখদেবের সঙ্গে এ বার শাস্তি ইস্টবেঙ্গলকেও

আন্তঃরাজ্য দলবদলে গত বছর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভার স্টপার সুখদেব সিংহকে নিয়ে কাজিয়া শুরু হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। দুই ক্লাবই দাবি করে, সুখদেব সিংহ তাদের ফুটবলার।

শাস্তি: চার মাসের জন্য নির্বাসিত করা হল সুখদেবকেও। ফাইল চিত্র

শাস্তি: চার মাসের জন্য নির্বাসিত করা হল সুখদেবকেও। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:২১
Share: Save:

কলকাতা লিগে খেতাব হাতছাড়া হওয়ার পরে ফের বড় ধাক্কা ইস্টবেঙ্গলে।

আন্তঃরাজ্য দলবদলে গত বছর আই লিগ চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভার স্টপার সুখদেব সিংহকে নিয়ে কাজিয়া শুরু হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে। দুই ক্লাবই দাবি করে, সুখদেব সিংহ তাদের ফুটবলার। ফলে বিষয়টি যায় ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির আওতায়।

শনিবার কমিটির তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, সুখদেবকে সই করানোর সময় ফিফা ও সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের নিয়ম মানেনি ইস্টবেঙ্গল। তাই দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডো পর্যন্ত কোনও ফুটবলার সই করাতে পারবে না তারা। তবে স্পেন ও মেক্সিকোর দুই ফুটবলার বোরহা গোমেজ পেরেস ও এনরিকে এসকুয়েদার নাম নথিবদ্ধ হয়ে যাওয়ায় আই লিগে তাঁদের খেলতে কোনও বাধা নেই। ইতিমধ্যেই কমিটি সংশ্লিষ্ট ফুটবলার সুখদেবকে চার মাসের জন্য নির্বাসিত করেছে।

দলবদলের দ্বিতীয় উইন্ডো শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯। ফলে শনিবার থেকে আগামী বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনও ফুটবলার নিতে পারবে না ইস্টবেঙ্গল। ফেডারেশনের প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির চেয়ারম্যান বাবু মাথের বলছেন, ‘‘বৈঠকে ইস্টবেঙ্গলের যুক্তি জোরাল ছিল না। ওঁরা বলেছে, নিয়ম জানত না। কিন্তু অজ্ঞতা কখনও অজুহাত হতে পারে না। তবে আবেদনের রাস্তা খোলা রয়েছে। ওদের যুক্তি বা বক্তব্য যদি গ্রাহ্য হয় সেখানে, তা হলে এই শাস্তি বদলাতেই পারে।’’

ফেডারেশনের বক্তব্য, ফিফার নিয়মে, কোনও ফুটবলারের সঙ্গে তাঁর বর্তমান ক্লাবের চুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের কম থাকে, তা হলে দ্বিতীয় কোনও ক্লাব সেই ফুটবলারের সঙ্গে সরাসরি দলবদলের ব্যাপারে কথা বলতে পারে। কিন্তু চুক্তির মেয়াদ ছয় মাসের বেশি হলে সংশ্লিষ্ট ফুটবলারকে পাওয়ার জন্য তাঁর বর্তমান ক্লাবের সঙ্গে কথা বলতে হবে।

মিনার্ভার সঙ্গে সুখদেবের চুক্তি ছিল ২০১৯ সালের ৩১ মে পর্যন্ত। ফেডারেশন সূত্রে খবর, মোহনবাগান সুখদেবের পুরনো ক্লাবের সঙ্গে কথা বলে, ‘ট্রান্সফার ফি’ দিয়ে তাঁকে সই করায়। সেখানে ইস্টবেঙ্গল এজেন্টের মারফত সরাসরি কথা বলেছিল সুখদেবের সঙ্গে। বিপত্তি নাকি সেখানেই।

মাসখানেক আগে সুখদেব নিয়ে দুই ক্লাবের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয় প্লেয়ার্স স্টেটাস কমিটির। যেখানে ইস্টবেঙ্গলের তরফে হাজির ছিলেন অ্যালভিটো ডি’কুনহা, ক্লাবে বিনিয়োগকারী সংস্থা নিযুক্ত চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার ও এক কর্মী।

ফেডারেশনের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার। তিনি বলছেন, ‘‘আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছি। আবেদন কমিটির কাছে যাব আমরা।’’ তিনি সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘এই কমিটির শাস্তি দেওয়ার কোনও অধিকার রয়েছে? এজেন্ট ফুটবলারের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না কোন সংবিধানে বলা হয়েছে? এজেন্ট আমাদের লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন মিনার্ভা কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সুখদেবকে রাজি করিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলে খেলার জন্য। ‘ট্রান্সফার ফি’ বাড়ালেই ছাড়পত্র পাওয়া যাবে। তা হলে আমাদের অপরাধ কোথায়?’’

লাল-হলুদ শিবির সূত্রে খবর, ফুটবলারদের চুক্তির বিশদ তথ্য না পাওয়াতেই ফেডারেশন সচিব কুশল দাসকে তারা চিঠি লিখেছিলেন। যার সত্যতা স্বীকার করে কুশলবাবু নাকি উত্তর দেন, ভবিষ্যতে এই জটিলতা না রাখার চেষ্টা করছেন তিনি। যার প্রমাণও লিখিত ভাবে রয়েছে বলে দাবি ইস্টবেঙ্গলের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE