লোবোর কাঁধে সওয়ার জোড়া গোলদাতা ডুডু।-নিজস্ব চিত্র
ইস্টবেঙ্গল-২ (ডুডু-২)
ওয়াহিংডো-০
ঘরের মাঠে আই লিগের শেষ ম্যাচ জিতেই ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’-এর খোঁজ শুরু করে দিলেন এলকো সতৌরি। ইস্টবেঙ্গলকে ‘গুডবাই’ জানানোর আগে লিগে অন্তত ‘থার্ড বয়’-এর জায়গা দখল করে।
টুর্নামেন্টে হারের হ্যাটট্রিক করার পরে রবিবার বারাসত স্টেডিয়ামে ফের জয়ের ‘হাইওয়েতে’ উঠেছে বটে তাঁর দল। কিন্তু লাল-হলুদ কোচ যে স্বপ্ন দেখছেন, তাঁর জন্য লিগের শেষ ম্যাচে লাজং এফসি-কে হারাতেই হবে (কারণ পুণেরও ১৯ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট)। তাও আবার পাহাড়ে, বিপক্ষের ঘরের মাঠে। আর এখানেই বোধহয় যত সমস্যা!
এ দিন নব্বই মিনিট খেলা শেষেই বড় অঘটনটা ঘটে লাল-হলুদে। অহেতুক ইনজুরি টাইমে লাল-কার্ড দেখে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই মরসুম শেষ করে ফেললেন তুলুঙ্গা। লালরিন্ডিকার অনুপস্থিতিতে ময়দানের ‘মামা’-ই যে এলকোর নড়বড়ে মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছিলেন! পাহাড়ের হার্ডল টপকাতেও মামা নির্ঘাত কার্যকরী হতে পারতেন। তাই ম্যাচ শেষে এলকো বললেন, ‘‘অন্তত তৃতীয় স্থানে শেষ করতে চাই লিগটা। এটা এখন শুধু ইস্টবেঙ্গলের নয়, আমারও মর্যাদার লড়াই। কিন্তু তুলুঙ্গার মতো ছেলে যে একটা মাছি পর্যন্ত মারতে পারে না, সে লাল কার্ড কী ভাবে দেখল আমি অবাক! লাজং ম্যাচের আগে এটা আমাদের বড় ধাক্কা।’’
তবু ইস্টবেঙ্গলের ‘সৌভাগ্য’ লিগের শেষ ল্যাপে পৌঁছে মর্যাদার কথা মনে পড়ল এলকোর! আরও কিছু দিন আগে যদি বোধদয় হত ডাচ কোচের, তা হলে হয়তো সান্ত্বনা পুরস্কারের জন্য এ ভাবে হাপিত্যেশ করতে হত না লাল-হলুদকে। এলকো আসা ইস্তক বিতর্ক শুরু। কখনও প্র্যাকটিস মাঠ নিয়ে সমস্যা। কখনও ফুটবলারদের সঙ্গে ঝামেলা, সরাসরি অন্তর্ঘাতের অভিযোগ— কিছুই বাদ দেননি তিনি। এর বদলে যদি ‘টিম ইস্টবেঙ্গল’ বানানোর কাজে বেশি সময় দিতেন, তা হলে আই লিগ কিংবা এএফসি কাপে ইস্টবেঙ্গলের এমন দুর্দশা হত না। জোড়া গোল করে ডুডুকেও এ দিন মাথা নিচু করে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হত না।
ইস্টবেঙ্গল: ব্যারেটো, অভিষেক (দীপক), অর্ণব, গুরবিন্দর, রবার্ট (অভিনাশ), হরমনজ্যোৎ (রফিক), মেহতাব, তুলুঙ্গা, লোবো, ডুডু, র্যান্টি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy